fbpx

দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী দেশে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের দুই ধাপে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। সব মিলিয়ে চার লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ নতুন পাঠ্যক্রম অনুযায়ী মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন পাঠ্যক্রমের জন্য মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল,মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের প্রথমে শিক্ষকদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপে ফেইস টু ফেইস। দীপু মনি বলেন, বর্তমানের মুখস্থ ভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা দিয়ে এগোনো যাবে না। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের আনন্দময় ও জীবন ভিত্তিক শিখনের অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। এছাড়া যোগ্যতা ও দক্ষতা ভিত্তিক শিক্ষা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিল্প ও সংস্কৃতির নিয়মিত চর্চা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা চর্চা ডিজিটাল ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকারী হওয়ার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দশম শ্রেণি পর্যন্ত কোনো কোনো বিভাগ থাকবে না এবং কোনো পাবলিক পরীক্ষা থাকবে না। দশম শ্রেণিতে প্রথম পাবলিক পরীক্ষা হবে। তারপর একাদশ শ্রেণির শেষে একবার পাবলিক পরীক্ষা ও দ্বাদশ শ্রেণিতে একবার পাবলিক পরীক্ষা হবে। নবম বা দশম শ্রেণিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কৃষি, শিল্প বা সেবার যেকোনো একটি বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন বাধ্যতামূলক ও মাধ্যমিক স্তরে দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে। এছাড়া শিক্ষাক্রম রূপরেখার দশটি বিষয়ের সঙ্গে মাদ্রাসা ও কারিগরি শাখার বিশেষায়িত বিষয়সমূহের যৌক্তিক সমন্বয় সাধন করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমটি এমন যেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক সবার ভূমিকা রয়েছে। সামনের বছর সারা দেশে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য এ শিক্ষাক্রম চালু করবো। আমরা প্রতিনিয়ত ফিডব্যাকের উপর নির্ভর করেই আমরা আমাদের পাঠ্যক্রমকে পরিশীলিত করে তুলবো। এ রূপান্তরের মাধ্যমে আমরা সামষ্টিক স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণের আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

সভাপতির বক্তৃতায় অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, সারা পৃথিবী বদলাচ্ছে। আমাদের শিক্ষকদেরও বদলাতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মো. আবু বকর সিদ্দীক ও মো. কামাল হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যক্রম বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ফরহাদুল ইসলাম।

Advertisement
Share.

Leave A Reply