fbpx

দশ বছরেও হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজাবাজারের বাসায় পাওয়া যায় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির মরদেহ। ১০ বছরেও মিলেনি এই দম্পতির হত্যার বিচার। তখন ছেলে মেঘের বয়স ছিল সাড়ে পাঁচ বছরের। আজ সেই মেঘ সাড়ে ১৫ বছর বয়সের কিশোর। বিচার চাইতে চাইতে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন রুনির মা। কিন্তু আজও বিচার মেলেনি সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যার।

এ দম্পতির হত্যার বিচার তো দুরের কথা, আদালতে এখনো তদন্ত প্রতিবেদনই জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তারা। আদালতে এ পর্যন্ত মোট ৮৫ বার পেছানো হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। এতোবার তদন্ত পিছানোর পরও সাগরের মায়ের আশা তার সন্তানের হত্যার বিচার পাবেন। আর মৃত্যর আগ পর্যন্ত তিনি এর বিচার চাইবেন।

সেদিন ছিল শুক্রবার  (১১ ফেব্রুয়ারি) আজ থেকে ১০ বছর আগের এই দিন ভোরে পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রুনির মরদেহ। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গত ১০ বছরেও ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পারেনি। এছাড়া হয়নি এই হত্যাকাণ্ডে দায়ের করা মামলার তদন্তের কোন অগ্রগতি।

সবশেষ গত ২৪ জানুয়ারি মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা ছিল। ওই দিনও মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। পরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন আরেকটি তারিখ ঠিক করে দেন।

আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ও ৭ জুন, ২০১৬ সালের ২ অক্টোবর এবং সবশেষ ২০১৭ বছরের ২১ মার্চ এই মামলায় তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করা হয় আদালতে। কিন্তু অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিটি প্রতিবেদনে প্রায় একই ধরনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। তাতে হত্যা রহস্য বা এ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো তথ্যই নেই

মামলায় সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল হক ও পলাশ রুদ্র পাল ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ১৬১ ধারায় জবানবন্দি দেন।

২০১২ সালে প্রথমে শেরেবাংলা নগর পুলিশ, পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ও পরে ১৮ এপ্রিল র‌্যাব এই মামলার তদন্তভার পায়। গত ২৪ জানুয়ারি ৮৫ বারের মতো পেছায় মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ।

Advertisement
Share.

Leave A Reply