জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব। কাজ থেকে পরিবার, সবকিছুর নিয়মিত আপডেট দিয়ে থাকেন নিজের ফেসবুক পেজে। কখনও সেটা নিজের জীবনাদর্শন নিয়ে, কখনও নিজের দুঃখ, আনন্দ বা পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে।
সোমবার(১৪ নভেম্বর) সকালে আসিফ লিখেছেন, ‘রাত প্রায় নয়টা বাজে। বাসায় বেগম (আসিফের স্ত্রী বেগম সালমা আসিফ) নেই, রণ, রুদ্রও নেই। ভাগনি সাহারার তত্ত্বাবধানে আছে আমার ছোট্ট মেয়ে আইদাহ্। বাসা থেকে বের হয়ে যাব স্টুডিওর দিকে, বউমা ঈশিতার সঙ্গে করিডরে দেখা। ক্লান্ত মেয়েটা মাত্র অফিস শেষ করে বাসায় ঢুকেছে। এবার ওর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে এলিভেটরে গ্রাউন্ড ফ্লোর প্রেস করার সময় অদ্ভুত একটা অনুভূতি মননে খেলে গেল। আমরা পুরোনো সদস্যরা বাসায় কেউ নেই, আমার বউমা এখন সর্বেসর্বা, ভাবতেই ভালো লাগছিল।’
আসিফ আরও লিখেছেন, ‘যাদের সঙ্গে শেয়ার করব, তাদের সময় নেই, আমারও অত অস্থিরতা নেই বোঝানোর। কারণ, আমি এসব অনুভূতি উপভোগ করতে চাই একান্তে, বোঝাতে গেলেই মজা নষ্ট হয়ে যাবে। এভাবেই পট পরিবর্তন হয়, নিজেকে সেয়ানা ভাবতে গিয়ে অধীশ্বর হয়ে ওঠার বিকারগ্রস্ত মানসিকতা সামাজিক কুলীনদেরই ভোগায়। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ভুয়া বাণিজ্যে ঘরে প্রবেশ করা নতুন মেয়েটি আসলেই অসহায়। তার ওপর কিম জং–উনের মিসাইলতত্ত্ব চাপিয়ে দেওয়ার প্রবণতা সরব থাকে। আমার ঘরে মেয়ে এসেছে। আমার মেয়ে আরেক ঘরে গিয়ে মেয়ে হিসেবে ওই ঘরটাকে আলোকিত করবে। এটাই নারী জাতির আসল ক্যারিশমা। মাঝখানে যত ভজকট ঘটে, সেগুলো নিতান্তই বাজে উদাহরণ। প্রতিটা গৃহে কোনো মেয়ের বউ হয়ে আসা কিংবা মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়া সেই সংসারে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশ নয়। সৌভাগ্য ওই ঘরটার, যেখানে মেয়েটির স্নিগ্ধতার পরশ বিরাজমান থাকবে জন্ম–জন্মান্তরে। আমি মহা আনন্দিত আমার বৌ’মা ঈশিতা আর মেয়ে রঙ্গনকে নিয়ে। বোনাস হিসেবে বেগম সালমা এখনো হেড অফ ফ্যামিলি পোস্ট হোল্ড করছেন। অনেক কারন অকারন খরা শেষে এই বসন্তবৃষ্টি খুব ভাল লাগছে আমার। অনেক চাপ না নিয়ে পরিবারের সান্নিধ্যে আনন্দ খুঁজুন, দিনশেষে পরিবারই আসল আশ্রয়স্থল। সফল ফ্যামিলিম্যান হিসেবেই লেকচারটা দিলাম, জ্ঞানপাপী হিসেবে নয়। ভালবাসা অবিরাম।’