fbpx

দেশে বাণিজ্য ঘাটতি এখন ৫৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি অর্থবছরেও বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। বছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ ২০২০ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দেশে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৬৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। তবে আগের অর্থবছরের তুলনায় এই ঘাটতি ১৭৫ কোটি ডলার কম। ২০১৯ সালের একই সময়ে এই ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৮২২ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের চলতি হিসাবে ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রফতানি খাতে বাংলাদেশের আয় ১ হাজার ৮৭৬ কোটি ১০ লাখ ডলার। একই সময় আমদানি করেছে ২ হাজার ৫২২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ফলে প্রথম ছয় মাসে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ৬৪৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।

তবে এসময় বাংলাদেশ আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৪৪ শতাংশ কম আয় করে। এসময় দেশে আমদানি ব্যয় কমেছে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে এ সময় প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে রেখেছে। প্রথম ছয় মাসে দেশে রেমিটেন্স প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি এসেছে।

এই ছ্য় মাসে সেবা খাতেও বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে। কেননা করোনার সময়ে মানুষ ভ্রমণও কম করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। গেল অর্থবছর যার পরিমাণ ছিল ১৬৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।

একই অর্থবছরে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) ওপরও বেশ বড় প্রভাব পড়েছে। চলতি অর্থবছরে দেশে এফডিআইয়ের পরিমাণ ১৫৫ কোটি ডলার।এর আগের অর্থবছরে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার।

তবে এই ছয় মাসে দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) উদ্বৃত্ত  বেড়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে চলতি হিসাবে ৪৩২ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১৬৭ কোটি ডলার। মূলত রেমিটেন্সের প্রবাহ সচল থাকায় বাংলাদেশ ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ৬১৫ কোটি ডলারের বেশি উদ্বৃত্ত ধরে রেখেছে।

বছরের এই ছয় মাস জুড়ে প্রবাসীরা ১ হাজার ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। গেল অর্থবছরে তারা ৯৪০ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন। সে হিসেবে এক বছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘করোনার কারণে গত ছয় মাসে আমদানি-রফতানিতে তেমন গতি ছিল না। কিন্তু এ সময় আসার আলো দেখিয়েছে রেমিটেন্স। আবার বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দামও ছিল নিম্নমুখী। এসব কারণে বাণিজ্য ঘাটতি কম হয়েছে। এছাড়া লেনদেনের ভারসাম্যেও উদ্বৃত্ত রয়েছে। তবে ইউরোপে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় ভবিষ্যৎ শঙ্কা কাটছে না।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply