করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সাতদিনের কঠোর লকডাউন। দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে শুক্রবার ছুটির দিন ও বৃষ্টির কারণে সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরেদেখা গেছে প্রায় জনশূন্য।
রাজধানীর তেজগাঁও, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, সাত রাস্তা, শাহবাগ, মতিঝিল, পল্টন, মৎসভবন, হাইকোর্ট এলাকা, গ্রিনরোডসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট বসিয়ে আজকেও যানবাহন তল্লাশি করেছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। টহলরত অবস্থায় দেখা গেছে বিজিবি ও সেনা সদস্যদের।
দ্বিতীয় দিনের লকডাউনে প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। ক্রেতাশুন্য বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও মাছ মাংসের দাম তুলনামূলক বেশি।
মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ক্রেতা সমাগম কম। বিক্রেতারা বলছেন, লকডাউনের কারণে বাজারে ক্রেতা কম তাই বেচাকেনাও কম।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা। চাল কুমড়া কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা।
বিক্রেতারা বলছেন লকডাউনের আগে সবজির দাম বাড়তি ছিল, লকডাউনে ক্রেতা না থাকায় কম দামেই বিক্রি করছেন তারা। বিক্রেতাদের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ক্রেতারা বলছেন দাম কমেনি কোনটাতেই বরং বেড়েছে।
তবে শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশি মুরগি, খাসি ও গরুর মাংসের দাম বাড়তি। গরু মাংসের কেজি ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
এদিকে ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়, লাল লেয়ার মুরগি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা ও সোনালী মুরগি ২০০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। সয়াবিন তেলের দাম লিটার ১৫৩ টাকা বিক্রি হচ্ছে।.
.https://www.facebook.com/bbsbangla.news/videos/522616058785125