fbpx

নারকেলের দুধের উপকারিতা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

নিরামিষ বা আমিষ, রান্নায় নারকেলের দুধ দিলে তার স্বাদ বেড়ে যায় দ্বিগুন। যাদের গরুর দুধ বা দুগ্ধজাত কোনও খাবারে অ্যালার্জি আছে তাদের মধ্যে অনেকেই আজকাল নারকেলের দুধ খান। গরুর দুধের মতো ক্যালসিয়াম বা ভিটামিন ডি না থাকলেও কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি, ফ্যাট, শর্করা, পটাশিয়াম, সোডিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে নারকেলের দুধে।এটি ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য রক্ষায় দারুন কাজ করে। নারকেলের দুধে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ঠ্য ত্বকের সংক্রমণ দূর করে।নারকেল দুধে যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়-

নারকেলের দুধের উপকারিতা

শক্তির উৎস

নারকেল দুধের মধ্যে রয়েছে ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি সরাসরি লিভার গিয়ে সেখান থেকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। কায়িক পরিশ্রম করার পর খুব ক্লান্ত লাগলে তাৎক্ষণিত শক্তি ফিরে পেতে খেতে পারেন নারকেলের দুধ।

হজমশক্তি উন্নত করতে

নারকেলের দুধের মধ্যে রয়েছে ফাইবার এবং ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নারকেলের দুধ খেলে খাবার হজমে সহায়ক উৎসেচকগুলি ক্ষরণের হার বেড়ে যায়। যদিও এ বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।

নারকেলের দুধের উপকারিতা

রোদে পোড়া ত্বক শীতল করে

ত্বক রোদে পুড়ে গেলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করুন। এটি পোড়া ত্বককে শীতল করে। তুলো দিয়ে ভাল করে নারকেলের দুধ রোদে পোড়া জায়গায় চেপে চেপে লাগান, তাহলে লালচে ভাব ও জ্বালাভাব দুটোই কমবে।

সংক্রমণ রোধ করতে : নারকেলের দুধের মধ্যে রয়েছে মনোলোরিন নামক বিশেষ একটি উপাদান। যা ভাইরাসের লিপিড মেমব্রেনটিকে ধ্বংস করে তার কার্যক্ষমতা নষ্ট করে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, নারকেলের দুধ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

ক্যানসার প্রতিরোধী
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত নারকেলের দুধ খেলে ক্যানসার আক্রান্ত কোষ দেহের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া প্রতিহত করতে পারে। নারকেলের দুধে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ উপাদানগুলি ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করে।

নারকেলের দুধের উপকারিতা

নতুন চুল গজায়

অনেকেরই চুলের ডগা ফেটে যায় ও চুল ঠিক মতো বাড়ে না। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকায় তা চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়ম করে নারকেলের দুধ লাগালে চুল শক্ত ও ঘন হবে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে: নারকেলের দুধে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড হৃৎপিণ্ড ভালো রাখতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, নারকেলের দুধ রক্তে থাকা খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল)-এর মাত্রা কমিয়ে আনতে সাহায্য করে।

ব্রণের সমস্যা কমায়

তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণের সমস্যা বেশি হয়। নিয়মিত নারকেলের দুধ মাখলে ত্বকে জমা অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়। ফলে ব্রণ কম হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply