গীতিকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক গাজী মাজহারুল আনোয়ার রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন।
অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয় খরবটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অসুস্থ অবস্থায় রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
ডাক্তার পরীক্ষা করে বলেন, তার পালস পাওয়া যাচ্ছে না। এর কিছুক্ষণ পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
গত কয়েকদিন ধরে এসিডিটির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। শনিবার তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্ত পরীক্ষা করানো হয়েছিল। রোববার উনার আরও অনেক কিছু পরীক্ষা করার কথা ছিল। কিন্তু সকালে তো তিনি চলে গেলেন।
আগামীকাল ৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে তার মায়ের কবরের পাশেই সমাহিত করা হবে।
গাজী মাজাহরুল আনোয়ারের ছেলে উপল গণমাধ্যমকে জানান, সোমবার সকাল ১১টায় মরদেহ নেওয়া হবে শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর দুপুরে এই কিংবদন্তিকে নেওয়া হবে তার প্রিয় কর্মস্থল বিএফডিসিতে। সেখানে প্রথম জানাজা হবে। এরপর বনানীতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে বেতার, টেলিভিশন, সিনেমাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার গান রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। তার লেখা কালজয়ী গানও অসংখ্য। গীতিকবিতায় অবদান রাখার জন্য ২০০২ সালে একুশে পদক লাভ করেন তিনি। পাঁচবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
তার লেখা কিছু কালজয়ী গান হলো-‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’, ‘আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে এবার বল’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ও পাখি তোর যন্ত্রণা’, ‘ইশারায় শীষ দিয়ে’, ‘চোখের নজর এমনি কইরা’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে’ প্রভৃতি।