পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার জের ধরে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলিকে নিজ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রবিবার (২৪ জানুয়ারি) ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। হিন্দুস্তান টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলের মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা।
কাজি শ্রেষ্ঠা জানান, প্রধানমন্ত্রী ওলির সদস্যপদ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তেই বাতিল করা হয়েছে। এর আগে, রাজপথে নামে নেপাল কমিউনিস্ট পার্টি (এনসিপি)-র ওলি বিরোধী অংশ। ওলি পার্লামেন্ট ভেঙে নির্বাচন আয়োজনের যে সিদ্ধান্ত নেয়, তার প্রতিবাদ জানায় তাঁরা। ওলিকে বহিষ্কারের দাবিতেও আওয়াজ তোলে ওলি বিরোধী অংশ। তাদের দাবি মেনে নিয়েই শেষ পর্যন্ত রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
অপরদিকে, এনসিপি-র ওলি বিরোধী অংশের নেতা মাধব কুমার নেপাল জানান, ওলি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য থাকার যোগ্য নন বলে তারা এনসিপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করেছে। এখন তার বিরুদ্ধে নীতিগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওলির কাছে তার এই সিদ্ধান্তের জন্য জবাব চাওয়া হয়েছে, যদিও এখন পর্যন্ত তিনি তার তরফ থেকে কোনও ব্যাখ্যা দেননি।
তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। সে সময় শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়ার কথা ছিল ওলি এবং বিপ্লবী নেতা পুষ্প কুমার দহল প্রচন্ডের মধ্যে। কিন্তু, ওলি সেই কথা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে রাজি হননি। আর তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দেখা দেয় চরম মতবিরোধ।
এদিকে, সাবেক মাওবাদী বিপ্লবীরাও ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছে। এমনকি বিরোধীরা তার সরকার করোনা মোকাবেলায় তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে পারেননি বলেও অভিযোগ তুলেছেন। পাশাপাশি, ভারত সরকারকে উপেক্ষা করে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বৃদ্ধি করছে এমন রাজনৈতিক দ্বন্দ্বেও পড়েছেন কে পি শর্মা ওলি।