fbpx

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকি, প্রাণহানি কমাতে বাংলাদেশকে সহজ শর্তে ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার ৭৮ কোটি টাকার বেশি ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

সোমবার ওয়াশিংটনস্থ বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির পর্ষদ সভায় এই ঋণ অনুমোদন হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, ‘সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প’ আওতায় দেয়া এই ঋণ বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক নিরাপত্তায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাইলট ভিত্তিতে দুটি জাতীয় মহাসড়ক গাজীপুর-এলেঙ্গা ও নাটোর থেকে নবাবগঞ্জ সড়কে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এতে উন্নত প্রকৌশল নকশা, প্রয়োজনীয় সড়ক চিহ্ন, পথচারীদের পারাপারের সুবিধা, গতিরোধকসহ অন্যান্য জরুরি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফলে এই দুই মহাসড়ককে বিদ্যমান ঝুঁকি ও দুর্ঘটনা ৩০ শতাংশ কমে আসবে। প্রকল্পটি একটি দীর্ঘমেয়াদী জাতীয় কর্মসূচি এবং একটি জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশল উন্নয়নে সহায়ক হবে। একইসঙ্গে মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে সমন্বয় এবং প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী করবে।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নির্বাচিত কিছু শহর এলাকা এবং জেলা সড়কগুলোর নিরাপত্তায় পাইলট কর্মসূচি নেয়া হবে। একইসঙ্গে ট্রাফিক পুলিশ এবং হাইওয়ে টহলের সক্ষমতাও বাড়ানো হবে। যাতে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং উচ্চগতির ঝুঁকিপূর্ণ চালকদের শনাক্ত করা যায়। এজন্য সিসিটিভি, ইলেকট্রনিক মেসেজিং, টহল যান বৃদ্ধি এবং দুর্ঘটনা পরবর্তী উদ্ধার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার সরঞ্জাম বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

সংস্থাটি বলছে, ২০১৬ সালে যারা সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন, তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। এজন্য একটি টোল-ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা নেয়া হবে। একইসঙ্গে সড়ক মহাসড়কের পাশের নির্দিষ্ট জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসাসেবা বাড়ানো হবে, যাতে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু কমানো যায়। এছাড়া দুর্ঘটনা পরবর্তী ট্রমা কাটিয়ে উঠতে আহতদের কাউন্সেলিং এর ব্যবস্থা করা হবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ট্রান্সপোর্ট স্পেশালিস্ট এবং প্রকল্পের টাস্ক টিম লিডার দীপন বোস বলেন, ‘সড়ক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বিনিয়োগ তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন সেগুলোকে যথাযথ প্রাতিষ্ঠানিক সেটআপ, আইনি কাঠামো এবং দক্ষ মনিটরিং সিস্টেমে আনা সম্ভব হবে।

সংশ্লিষ্ট তিনটি মন্ত্রণালয়- সড়ক পরিবহন ও সেতু, স্বাস্থ্য এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিয়েই শক্তিশালী সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। প্রকল্পের আওতায় পুলিশের জন্য একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। সেখানে চালকদের জন্য একটি ব্যাপক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও থাকবে।

বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে দেয়া সহজ শর্তে ঋণ ৩০ বছরের শোধ করতে হবে। পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ড থাকবে, যে সময়ে ঋণের কিস্তি বা আসল বা সুদ কিছুই পরিশোধ করতে হবে না।

Advertisement
Share.

Leave A Reply