fbpx

 নয় মাসে রফতানি কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনার মাঝেও থেমে নেই দেশের রফতানি কার্যক্রম। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বাংলাদেশ ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রফতানি করেছে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) মঙ্গলবার এই তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গেছে, ২০২১ সালের মার্চ মাসে দেশে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ২৭৩ কোটি ডলার। সে হিসেবে রফতানি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। কিন্ত সামগ্রিকভাবে নয় মাসে রফতানি কমেছে দশমিক ১২ শতাংশ।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি হয়েছে ৯৫ কোটি ডলারের। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি।এই সময়ে পাটপণ্যের মধ্যে পাটের সুতা ও বস্তার রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ ও ২৩ শতাংশ। এই সময়ে ৬৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।

ইপিবি থেকে জানা গেছে, ৯ মাসে এই রফতানি খাতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদান ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই সময়ে ২ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলার পোশাক রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের প্রথম ৯ মাসের চেয়ে আড়াই শতাংশ কম। এই সময়ে ওভেন পোশাকের রফতানি প্রায় ১১ শতাংশ কমলেও নিট পোশাকের রফতানি বেড়েছে ৬ শতাংশের মতো।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো  বলছে, এই সময়ে তৈরি পোশাকের রফতানি কিছুটা কমলেও পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়াবিহীন জুতা, প্রকৌশল পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হস্তশিল্প, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, রাসায়নিক পণ্য ও সিরামিক পণ্যের রফতানি আয় বেড়েছে। তবে রফতানি কমেছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং হিমায়িত খাদ্যে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রফতানি হিয়েছে ৭৪ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এছাড়া হিমায়িত খাদ্য রফতানি হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায়  ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম।

Advertisement
Share.

Leave A Reply