fbpx

পরিবেশ দূষণ কমাতে ২৫ হাজার ৪৬৫ কোটি ২ লাখ টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বাংলাদেশে দূষণ কমাতে এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রমে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এ ঋণের পরিমাণ ২৫ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার ৪৬৫ কোটি ২ লাখ টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে সংস্থাটি।

এই ঋণের একটি অংশ ব্যয় হবে যানবাহন পরীক্ষা, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পানির মান পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে। এ ঋণ শোধ করতে পাঁচ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছর সময় পাবে বাংলাদেশ।

ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে দেয়া এই ঋণের অর্থ ‘বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্পের আওতায় সরকার ব্যয় করবে দূষণ হ্রাস এবং পরিবেশ আইন কার্যকর করার প্রশাসনিক ও কারিগরি সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজে।

নির্দিষ্ট কিছু খাতে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ এবং বায়ুদূষণ কমিয়ে আনতে একটি পরিবেশবান্ধব ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম গড়ে তুলতেও এ ঋণের অর্থ ব্যবহার করা হবে।

বিশ্বব্যাংক বলছে, তাদের ঋণের অর্থে সফলভাবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে দূষণ কমবে এবং ঢাকা ও আশপাশের এলাকার ২ কোটি ১০ লাখের মানুষ উপকৃত হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে চারটি যানবাহন পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে; যেসব কেন্দ্রে বছরে ৪ হাজার ৬০০ গাড়ির ফিটনেস ও অন্যান্য বিষয় পরীক্ষা করা যাবে। বছরে সাড়ে তিন হাজার মেট্রিক টন ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সক্ষম একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে এই ঋণের টাকায়, যার মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে বছরে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ ১০ লাখ মেট্রিক টন কমানো সম্ভব হবে।

বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং এই প্রকল্পের নেতৃত্বে থাকা জিয়াং রু বলেন, “বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলন বলছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশে যত মৃত্যু হয়েছে, তার এক পঞ্চমাংশের পেছনে ছিল বায়ু দূষণ ও সীসা দূষণ। আর এই দূষণের কারণে বাংলাদেশের জিডিপির ১২ শতাংশ নষ্ট হচ্ছে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে বেসরকারি খাতকে উত্সাহ যোগালে ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন গ্যাসের নির্গমন ‘নেট জিরো’ পর্যায়ে নামিয়ে আনার লক্ষ্য অর্জন বাংলাদেশের জন্য সহজ হবে।”

এ প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো ঢাকার বিভিন্ন নদীর ২২টি পয়েন্টে সার্বক্ষণিক পানির মান পরীক্ষার স্টেশনের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। এছাড়া নিয়ম মাফিক বর্জ্য পরিশোধন হচ্ছে কি-না, সেই নজরদারির জন্য বিভিন্ন শিল্প এলাকায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক।

Advertisement
Share.

Leave A Reply