fbpx

পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫ চীনা নাবিকের মৃত্যু

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

একটি পারমাণবিক সাবমেরিন দুর্ঘটনায় ৫৫ জন চীনা নাবিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সাগরতলে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করা এই নাবিকদের মধ্যে ২১ জন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা রয়েছে। চীনের মূল ভূখণ্ড এবং কোরীয় উপদ্বীপের মাঝখানে অবস্থিত ইয়েলো সি বা পীত সাগরে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ব্রিটিশ সরকারের গোপন রিপোর্টের বরাত দিয়ে বুধবার (৪ অক্টোবর,২০২৩) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। যুক্তরাজ্যের একটি গোপনীয় প্রতিবেদন অনুসারে,সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেমে বিপর্যয়কর ব্যর্থতার কারণে ওই সদস্যদের মৃত্যু হয়েছে।

মৃত নাবিকদের মধ্যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) নৌবাহিনীর ‘০৯৩-৪১৭’ সাবমেরিনের ক্যাপ্টেন কর্নেল জুই ইয়ং-পেং এবং ২১ জন অফিসারও রয়েছেন বলে ব্রিটেনের গোপন ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল।

ডেইলি মেইল অনুসারে, যুক্তরাজ্যের প্রতিবেদনে ঘটনাটির বর্ণনায় বলা হয়েছে: ‘চলতি বছরের ২১ আগস্ট চীনা ওই সাবমেরিনটি পীত সাগরে একটি মিশনে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটেছিল বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিন স্থানীয় সময় সকাল সোয়া আটটার দিকে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। যার ফলে ৫৫ জন ক্রু সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ২২ জন অফিসার, ৭ অফিসার ক্যাডেট, ৯ জন পেটি অফিসার এবং ১৭ জন নাবিক। সাবমেরিনে সিস্টেমের ত্রুটির কারণে সৃষ্ট হাইপোক্সিয়াকে মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।’

বর্ণনায় আরও বলা হয়েছে, ‘নৌযানটি মার্কিন এবং সহযোগী সাবমেরিনকে ফাঁদে ফেলার জন্য চীনা নৌবাহিনীর ব্যবহৃত একটি চেইন এবং নোঙ্গর বাধাকে আঘাত করে। এই সংঘর্ষের ফলে সাবমেরিনের সিস্টেমে ত্রুটি দেখা দেয়। নৌযানটি মেরামত করতে এবং সেটিকে পানির ওপরে তুলতে ছয় ঘণ্টার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বিপর্যয়কর ওই ব্যর্থতার পরে সাবমেরিনের অক্সিজেন সিস্টেম নষ্ট হয়ে সেখানকার বাতাস বিষাক্ত হয়ে সেখানকার সবার মৃত্যু হয়।

অবশ্য যুক্তরাজ্যের এই প্রতিবেদন ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে চীন।

 

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply