fbpx

পুতিনের মন বুঝতে চান পশ্চিমা গোয়েন্দারা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন- সল্পভাষী, কঠোর মনবল আর আর জুডোর প্যাঁচ কষাতে বেশ নাম রয়েছে তার। সমালোচকরা বলেন, যুদ্ধ-যুদ্ধ খেলাটাই সবচেয়ে ভাল পারেন তিনি।

পশ্চিমা নেতাদের তোয়াক্কা না করে নিজের মত চলা পুতিন দিনকে দিন হয়ে উঠেছেন আরও বেশি দূর্বোধ্য, রহস্যময়। তিনি কি ভাবেন, কি করবেন আগে থেকে আঁচ করা যায় না একেবারেই। আর তাইতো কপালের ভাঁজ আরও দীর্ঘ হয় শত্রুপক্ষের।

পশ্চিমা গোয়েন্দাদের ধারণা, পুতিন তার নিজস্ব ভুবনে আটকা পড়ে আছেন। সংবাদ মাধ্যম বিবিসি বলছে, অনেক দিন ধরেই পুতিনের মন বোঝার চেষ্টা করছে পশ্চিমা গোয়েন্দারা। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এটা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে। কারণ, পুতিনের ওপর চাপ দিলে তার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে, সেটাই জানতে চান তারা।

২০১৮ সালে, এক তথ্যচিত্রে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘যদি কেউ রাশিয়াকে ধ্বংস করতে চায়, তাহলে সেটার প্রতিক্রিয়া দেখানোর আইনগত অধিকার আছে আমাদের। সেটা অবশ্যই মানবজাতির এবং পুরো পৃথিবীর জন্য এক চরম বিপর্যয় হবে। রাশিয়া থাকবে না, এমন পৃথিবীর কি আদৌ কোনো দরকার আছে?

পুতিন জনসম্মুখে যেসব কথা বলেন, তাতে তার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু কাজটা তিনি কিভাবে করবেন সেটা ঝোঝাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।

ইউক্রেন হামলায়, এরমধ্যেই দুই দফা শব্দের চেয়ে দ্রুত গতি সম্পন্ন হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করছে মস্কো। পশ্চিমা গোয়েন্দাদের দাবি, একক সিদ্ধান্তেই এগুচ্ছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। এবং তিনি এতটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন যে তার কাছে কোনো বিকল্প মতামত পৌঁছানোর পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলছেন তিনি হয়তো অসুস্থ।

রুশ মন্ত্রীপরিষদে পুতিনের এই ছবিটি দেখুন।

পুতিনের মন বুঝতে চান পশ্চিমা গোয়েন্দারা

ছবি: সংগৃহীত

অন্যনেতাদের থেকে একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন পুতিন। আবার লম্বা টেবিলের এক প্রান্তে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো অন্য প্রান্তে প্রেসিডেন্ট পুতিন।

পুতিনের মন বুঝতে চান পশ্চিমা গোয়েন্দারা

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর সাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: সংগৃহীত

এ সবকেই বিচ্ছিন্নতার লক্ষণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পুতিনের মন বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন মনোবিজ্ঞানীরাও।

মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান ফার্নহ্যাম বলেন, ‘পুতিন নির্দিষ্ট সংখ্যক লোকের কথা শোনেন। বাকি সব কথা তার কাছে যাওয়ার পথ তিনি বন্ধ করে রেখেছেন। তার কাছে যে সব তথ্য যায়, বিশ্ব সম্পর্কে সে সব তাকে একটি অদ্ভূত দৃষ্টিভঙ্গির ধারণা দেয়।‘

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কোন পথে যাবে- এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে এখন গোটা বিশ্ব। আর যুদ্ধ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মনের ঘরেই ঠাঁই চায় পশ্চিমা গোয়েন্দারা।

পুতিনের মন বুঝতে চান পশ্চিমা গোয়েন্দারা

Advertisement
Share.

Leave A Reply