শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। কিন্তু আমরা এত ব্যস্ত সময় কাটাই যে, নিজের প্রয়োজনীয় সময় তো দূরের কথা, পরিমিত ঘুমানোর সময়ও পাওয়া দায় হয়ে পড়ে মাঝেমাঝে।
ব্যস্ততম জীবনে কাজের চাপে অনেক সময় ঘুমের ঘাটতি থেকে যায়। কর্মজীবি নারীদের ঘুমের ঘাটতি আরও বেশি। সংসার, বাচ্চা, চাকরি সামলে পরিমিত ঘুম তাদের কাছে সোনার হরিণের নামই একপ্রকার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষদের তুলনায় নারীদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি। ন্যাশনাল লাইব্রেরী অফ মেডিসিন বলছে, প্রায় ৪০ শতাংশ নারী অনিদ্রায় ভুগে থাকেন।
পুরুষদের তুলনায় নারীদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি
প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ এবং নারীদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। এছাড়া গবেষণায় বলা হচ্ছে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম অনেক বেশি সজাগ। সেই তুলনায় ছেলেদের মধ্যে গভীর ঘুমের প্রবণতা আছে। মেয়েদের ঘুম খুব পাতলা হয়। ফলে সময় পেলেও বিভিন্ন কারণে ভেঙে যায়। অনেক নারী যেহেতু ঘর এবং বাইরে দুটোই সামলান ফলে একটা মানসিক চাপ সব সময়ে তাদের মধ্যে কাজ করে। আরে কারণেই নিশ্চিন্তে ঘুমানোর সুযোগ কম থাকে।
এছাড়াও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে, ব্যক্তিগত জীবনযাপন ও কর্মক্ষমতা বজায় রাখতেও নারীদের ঘুমের প্রয়োজন বেশি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে অনিদ্রায় ভোগা মহিলারা উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, হৃদযন্ত্রের সমস্যা, মানসিক বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় পুরুষদের তুলনায় বেশি ভোগেন।
পর্যাপ্ত ঘুমানোর জন্য নারীদের করণীয়:
১। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানর চেষ্টা করুন। রাত ১০টার মধ্যে ঘুমিয়ে সকাল ৭টায় উঠার অভ্যাস করতে পারেন।
২। ঘুমানোর আগে কফি, চা এড়িয়ে চলুন
৩। রাতে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘন্টা আগে রাতের খাওয়া সেরে নিন।
৪। ঘুমানোর আগে উষ্ণ গরম পানিতে গসল করে নিতে পারেন