পাঞ্জাব পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন ভারতের। পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গেল ১৮ মার্চ থেকে ৩৬ দিন ধরে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। এ সময় তাকে খুঁজে বের করতে ব্যাপক অভিযান চালানো হলেও তাকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিশ্চিত করেছে, পাঞ্জাব পুলিশ রোববার তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এক টুইটে পুলিশ বলেছে, “আমৃতপাল সিং মোগায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। পাঞ্জাব পুলিশ পরে বিস্তারিত জানাবে। জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হচ্ছে, কোনো ভুয়া খবর শেয়ার করবেন না, সত্যাসত্য যাচাই করে তারপর শেয়ার করবেন।”
পুলিশের সূত্রগুলো এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, পলাতক অমৃতপাল পাঞ্জাবের মোগা জেলার রোদ গ্রামের গুরুদুয়ারায় আত্মসমর্পণ করেছেন।
পুলিশের অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাবের অমৃতসরের কাছে এক থানায় বন্দি সঙ্গীকে মুক্ত করতে অমৃতপাল তার কয়েকশো সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালিয়েছিলেন। এর প্রায় এক মাস পর গত ১৮ মার্চ পুলিশ খালিস্তানপন্থি এই নেতাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানালে, তখন থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে মোগা জেলোর একটি গুরুদুয়ারার কাছে অমৃতলাল নিজেই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে প্রথমে অসৃতসরে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখান থেকে তাকে আসামের ডিব্রুগড়ের কারাগারে পাঠানো হচ্ছে; সেখানে তার আরও আট সহযোগী বন্দি আছেন।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে কোনো অভিযোগ গঠন ছাড়াই অমৃতপালকে এক বছর বন্দি করে রাখা যাবে।
অমৃতপাল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, আইনপ্রয়োগে বাধাদান এবং অস্থিরতা তৈরির অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছে, অমৃতপাল সিং পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করছিল এবং সাম্প্রদায়িক লাইনে পাঞ্জাবকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছিল।