fbpx

‘প্রাইমারি ছাড়া সেকেন্ডারি মার্কেটের উন্নয়ন অসম্ভব’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রাইমারি মার্কেটকে বাদ দিয়ে সেকেন্ডারি মার্কেটের উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

রোববার (২৫ জুন) বিএসইসির কার্যালয়ে ‘শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের (এসবিজেএ) নবগঠিত কমিটির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ , শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হাসিব হাসান, সাধারণ সম্পাদক তৃষ্ণা হোমরায় তন্বী , সহ-সভাপতি সানি আহমেদ ও এমএইচ রনি, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাসান কবির জনি, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক স্বপ্ন রোজ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শামীম আল মাসুদ, শাহীনুর ইসলাম এবং মো: তারেকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘সেকেন্ডারি মার্কেট কখনো একা ভালো চলতে পারে না। প্রাইমারি মার্কেট সুস্থ থাকলে সেকেন্ডারি মার্কেট সুস্থ থাকবে। কারণ বাজারে তারল্যের বড় অংশই আসে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে। সেজন্য আমরা বন্ড মার্কেটেও জোর দিচ্ছি।’ এসময় তিনি আরো বলেন, ‘বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে আমরা ইতিমধ্যে প্লেসমেন্ট বানিজ্য বন্ধ করেছি। আইপিওর ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে প্রো-রাটা পদ্ধতিতে শেয়ার বরাদ্দ দিচ্ছি। এতে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হচ্ছেন।’

বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজার খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে আমি, আপনিতো দূরের কথা, একজন অপরিচিত লোকও গুজব রটিয়ে দেয় তবে তা বাজারকে মারাত্বকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’

শিবলী রুবাইয়াত বলেন, ‘আমাদের কাজ পলিসি সাপোর্ট দেয়া। সেজন্য আমরা দায়িত্ব নেয়ার পরপরই কোম্পানিগুলোর কমপ্লায়েন্সে জোর দিয়েছি। যেন একটা কোম্পানি ভালো ব্যবসা করে রেগুলার ভালো ডিভিডেন্ড দিতে পারে। শুধু তাই নয় আমরা স্টক ডিভিডেন্ডকে নিরুৎসাহিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। কারণ একটা কোম্পানি যদি ভালো ডিভিডেন্ড দেয় আর সেটা যদি হয় ক্যাশ ডিভিডেন্ড তাহলে বিনিয়োগকারীরা খুশি হয় এবং নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা লো-পেইড আপ কোম্পানিগুলোর পেইড আপ বাড়ানোর বিষয়ে জোর দিয়েছি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, একটা কোম্পানির শেয়ার দুই হাজার তিন হাজার টাকা কিভাবে হয়? সে বিষয়টি বুঝতে হলে আগে দেখতে হবে ওই কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ কতো। এখন যেসব কোম্পানির ফ্রি ফ্লোট শেয়ারের পরিমাণ কম তার দামতো বাড়বেই। এজন্য ডিমান্ড না সাপ্লাই কম থাকাটাই মূল কারণ।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব্য নেয়ার পরপরই উৎপাদনে না থাকা কোম্পানিগুলোকে উৎপাদনে ফেরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। বিভিন্ন কোম্পানি অনুসন্ধানে আমরা দেখেছি, এসব কোম্পানির কোন কার্যক্রমই নেই। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে কোম্পানির শেয়ার কার কার কাছে আছে, এ তথ্য যিনি লিপিবদ্ধ করেন বা যার কাছে থাকেন সেই রেজিস্ট্রারও নেই। মধ্যখান থেকে এই কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগকারীরাসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোও আটকে গেছেন। আমরা সেসব কোম্পানি নিয়ে কাজ করছি। এদেরকে পুনরায় চালু করতে পারলে একদিকে বিনিয়োগকারীরা বেঁচে যাবেন। অন্যদিকে লাখ লাখ লোকের কর্মসংস্থান বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যাংকগুলোকে এনপিএল থেকে বের করতে না পারলে আমরা ক্যাপিটাল মার্কেট কখনো ভালো করতে পারবো না। কারণ ব্যাংক যখন চাপে থাকে বাজার চাপে থাকে। ব্যাংকে লিক্যুইডিটি ক্রাইসিস থাকলে, ফরেন এক্সচেঞ্জ মার্কেট অস্থির থাকলে তার নেতিবাচক প্রভাব সরাসরি বাজারে পড়ে। এসব সমস্যা সমাধানেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সাংবাদিকদের পেশাগত মানোন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালার পাশাপশি আমরা বিআইসিএমের মাধ্যমে পুঁজিবাজারভিত্তিক মাস্টার্স কোর্সও চালু করেছি। শুধু তাই নয়, সাংবাদিকদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির বিষয় মাথায় রেখে আমরা বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের সদস্যদের হেল্থ ইন্স্যুরেন্সও করে দিয়েছি।’

এ সময় শেয়ার মার্কেট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হাসিব হাসান পুঁজিবাজার উন্নয়নে বর্তমান কমিশনের নানা উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং বাজার উন্নয়নে বিএসইসির পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply