fbpx

ফেসবুকে ব্যবসা করতে গেলেও লাগবে ডিবিআইডি নম্বর

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সরকারের কাছ থেকে নিবন্ধন না নিলে কেউ ই-কমার্স ব্যবসা করতে পারবে না। ব্যবসা শুরুর আগে অবশ্যই তাকে ডিজিটাল বিজনেস আইডেনটিফিকেশন (ডিবিআইডি) চালু করতে হবে। এমনকি ফেসবুকে পেজ চালাতে গেলেও এই ডিবিআইডি চালু করতে হবে। ডিবিআইডি নম্বরই ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য নিবন্ধন হিসেবে কাজ করবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর থেকে এ ডিবিআইডি নিতে হবে।

রবিবার ডিবিআইডি নেওয়ার একটি অ্যাপসের উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সেই অনুষ্ঠানে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসায়ের সার্বিক দিক পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে মোট ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান আড়াই হাজার। তবে ই–কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইক্যাব) তালিকাভুক্ত ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ৬০৯টি। আর ফেসবুক কমার্সের (এফ কমার্স) সংখ্যা দুই লাখের বেশি।

সেখানে আরও জানানো হয়, গত বছর ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। আশা করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে এই আয় ২৬ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ আছে এই খাতে। তবে প্রতারণার শিকার হয়ে কত মানুষের, কত টাকা অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে আটকা আছে, এ বিষয়ে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘তিন মাস আগে সভা করে একটা প্ল্যাটফর্ম করার কথা বলেছিলাম। সেটা আজ হলো। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্স খাতের জন্য আরও বিভিন্ন পদ্ধতি চালু করা হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানের জন্য করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), ট্রেড লাইসেন্স, ব্যাংক হিসাব খোলা, অর্থায়ন ইত্যাদি সমস্যাও আছে। এগুলো দূর করতে আমরা আরও আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করব।’

নিবন্ধন না থাকায় ফেসবুককেন্দ্রিক ছোট উদ্যোক্তারা ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন না। ব্যাংকঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবেও ভবিষ্যতে ডিবিআইডি কাজ করবে বলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে আরও নতুন পদ্ধতি চালু হবে। যেমন একটি পদ্ধতি চালু করা হবে, যা দিয়ে পণ্যের অবস্থান বের করা সম্ভব হবে। আরেকটি হবে সহজে লেনদেন করার পদ্ধতি।

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা কারাগারে আছেন,আলোচনা করেছি, সমাধানের পথ বের করার চেষ্টা করছি, আইনের ওপরই আমাদের নির্ভরশীল থাকতে হবে। যাদের টাকা অর্থ পরিশোধকারী প্রতিষ্ঠানের (পেমেন্ট গেটওয়ে) কাছে আটকা, তারা তা ফেরত পাবেন। বাকিদের ব্যাপারে সরকার দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়ে দেন টিপু মুনশি।’

অনুষ্ঠান চলাকালে চালডাল লিমিটেড, রকমারি ডটকম, আজকের ডিল, সাজগোজ লিমিটেড, যাচাই ডট কম, ডায়াবেটিস স্টোর, তৃণাস ক্লোসেট, নওরীনস মিরর—এই আট ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান এবং আঁখিস কালেকশন, নিথান ও মমস ফানুস—এই তিন ফেসবুক শপ ও আনন্দমেলা মার্চেন্টকে ডিবিআইডি নম্বর ও সনদ দেওয়া হয়।

Advertisement
Share.

Leave A Reply