ঋআজ মোর্শেদের জন্ম ১ ডিসেম্বর ঢাকায়। গ্রাজুয়েশন করেছেন ব্যবসা প্রশাসনে। দীর্ঘদিন ধরেই ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছেন। যার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে গড়ে তোলেন ‘স্টুডিও প্রাণকোকিলা’। বর্তমানে ‘প্রাণকোকিলা ডিজিটাল’ নামে যেটি পরিচিত। ফেসবুক পেইজ সেটআপ থেকে লোগো টিউনের মত সেবা এখানে মেলে। পাশাপাশি ‘চিরহঋৎ’ নামে একটি ব্যান্ডের লিড গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট হিসাবে কাজ করছেন।
বাস্তব দোকানের মতো অনলাইনে কোনো দোকান নেই। যেহেতু দৃশ্যমান বস্তুগত দোকানের অস্তিত্ব নেই, তার মানে সেই দোকানের ডেকোরেশন খরচ, দোকান ভাড়া,কর্মচারীর বেতনও নেই। কিন্তু ফেসবুকে ব্যবসা করতে আসলেই কি কোন খরচ নেই?
খরচ আছে। ফেসবুকে পেইজ খুলে ব্যবসা করতে চাইলে এখন খরচ করে ব্যবসা করতে হবে। অতীতে বিনা বিনিয়োগে ফেসবুকে ব্যবসা করা গেলেও এখন আর তা সম্ভব না। সাম্প্রতিক আপডেটে ফেসবুক তাদের অ্যালগারিদমে বেশকিছু পরিবর্তন এনেছে। যার ফলে এখন বিনা পয়সায় ফেসবুকে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।
ফেসবুক কেন্দ্র করে পরিচালিত ব্যবসায়ে মুনাফার পরিমাণ খুব একটা কম নয়। একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য পরিমাণের হিসাবে কখনও কখনও লক্ষ্যমাত্রারও চেয়ে বেশি।
ফেসবুকে পেইজ খুলে ব্যবসার প্রথম ধাপেই পেইজ প্রোমোশনের প্রয়োজন পরে। ফেসবুক টাকার বিনিময়ে এই কাজটি করে থাকে। তবে এই প্রক্রিয়া শুরু করার আগে প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত মৌলিক কার্যক্রম শেষ করা উচিৎ। যেমন নাম নির্বাচন করা, লোগো ও কাভার ডিজাইন করা, বিভিন্ন সেলস প্যাকেজ তৈরী করা ইত্যাদি। পরবর্তীতে কোন এক পর্বে আমরা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
এর পরবর্তী ধাপে কাঙ্ক্ষিত পেইজ সেটআপের কাজ শুরু করে দেওয়া উচিৎ। ফেসবুক তাদের পেইজগুলো আমাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্নভাবে সাজানোর সুযোগ রেখেছে। আপনি আপনার প্রয়োজন বুঝে এটি সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারবেন। নিজে অভিজ্ঞ না হলে এক্ষেত্রে কোন ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি বা অভিজ্ঞ কারও সহায়তা নিন।
পেইজ সেটআপ শেষ হলে কন্টেন্ট তৈরীর কাজ শুরু করে দিন। পেইজ সেটআপ পর্ব শেষ করে অনেকে সরাসরি পেইজ প্রোমোশন বা লাইক সংগ্রহের কাজ শুরু করেন। এটি করা উচিৎ নয়। পেইজে কন্টেন্ট থাকলে প্রমোশন থেকে পাওয়া লাইকগুলোও সম্ভাব্য ক্রেতা হতে পারে। অন্তত গোটা ছয়েক কন্টেন্ট পোস্ট করে তারপর পেইজ প্রোমোশনের কাজ শুরু করুন।