fbpx

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ঢুকতে লাগবে না পাসওয়ার্ড!

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বর্তমান সময়ে তরুণদের সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া এক মূহুর্ত যেন চলে না। ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাটসহ সব মিডিয়ায় একটি একাউন্ট থাকা যেন চাই ই চাই। অনেকে আবার একই টেক জায়ান্টের একাধিক আইডিও খুলে রাখেন। সেক্ষেত্রে অবশ্য তাকে ভোগান্তিও কম পোহাতে হয় না। কেননা একাধিক একাউন্ট মানেই একাধিক পাসওয়ার্ড। আর এতো পাসওয়ার্ড মনে রাখা একটু কঠিনও বটে।

তবে খুব শিগগিরই পাসওয়ার্ড মনে রাখার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন গ্রাহকরা। গত ৫ মে ছিল আন্তর্জাতিক পাসওয়ার্ড দিবস। সেদিনই এক কালজয়ী ঘোষণা দেয় বিশ্বসেরা টেক জায়ান্টগুলো। গুগল, অ্যাপল এবং মাইক্রোসফট-এর পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, খুব শিগগিরই তারা পাসওয়ার্ডলেস সাইন ইন পদ্ধতি আনছে তারা।

ফলে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে লগ ইন করতে কোনো পাসওয়ার্ড লাগবে না। শুধু এই দুটি অ্যাপ নয় আরও বেশ কয়েকটি অ্যাপের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা চালু হতে যাচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে সব বড় বড় প্ল্যাটফর্মে পাসওয়ার্ডলেস অথেনটিকেশন পদ্ধতি নিয়ে আসা হবে। পরবর্তীতে বাকি অ্যাপের সাইন ইন এর ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি চালু করা হবে। অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন, এমনকি ডেস্কটপের ক্রোম, এডজ, সাফারি ব্রাউজার এবং ম্যাকওএসের ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবহারকারীদের পাসওয়ার্ড মনে রাখতে বেশ সমস্যা হয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই এই সুবিধা চালু করা হবে। এছাড়াও নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো সুরক্ষিত থাকবে। সেক্ষেত্রে হ্যাকারদের আইডি হ্যাক করা কঠিন হয়ে যাবে।

এবার চলুন জেনে নিই, যেভাবে এই প্রযুক্তি কাজ করবে

এই প্রযুক্তিতে মূল হাতিয়ার হবে আপনার ব্যবহৃত ডিভাইসটি অর্থাৎ আপনার মোবাইলটি। এটি অথন্টিকেশন ডিভাইস হিসেবে কাজ করবে। তবে সেটি ডিফল্ট থাকবে না। কেউ চাইলে; এ সেই ব্যবস্থা করে নিতে পারবে।

সেক্ষেত্রে আপনার হ্যান্ডসেটটিতে অবশ্যই লক করার ব্যবস্থা থাকতে হবে। অর্থাৎ প্যাটার্ন, পিন, ফিঙ্গার প্রিন্ট এবং ফেস অথন্টিকেশনই হবে প্রধান অথন্টিকেশন। ফলে আপনি সেই স্মার্টফোন থেকে পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাপগুলোতে ঢুকতে আলাদা করে পাসওয়ার্ড দিতে হবে না।

বিশেষজ্ঞরা এই পুরো প্রযুক্তির নাম রেখেছেন পাসকি (Passkey)। যা ইউনিক ক্রিপ্টোগ্রাফিক টোকেন সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। পাবলিক কি ক্রিপ্টোগ্রাফিক (Public Key Cryptography)-র মাধ্যমেই পুরো কাজটি হবে বলে বিভিন্ন সংস্থার সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এখন শুধু অপেক্ষার পালা, কবে এই প্রযুক্তি চালু হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply