fbpx

বন্ধ ফেরি চলাচল,পারাপারের অপেক্ষায় ঘরমুখী মানুষ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে শনিবার থেকে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। তবে হঠাৎ ফেরি বন্ধের ঘোষণায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন পারাপারের অপেক্ষায় আটকে থাকা গাড়ির চালক ও সাধারণ যাত্রীরা।

পাটুরিয়া-দৌলদিয়া এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে অনেক ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় আছে।

পাটুরিয়া ঘাটে দেখা গেছে, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যান পারাপারে একটি ফেরি ঘাটে ভেড়াতে গেলে যাত্রীরা দৌড়ে সেখানে ওঠার চেষ্টা করেন। হঠাৎ করে ফেরি বন্ধ হওয়ায় তাঁরা দৌলতদিয়া ঘাটে এসে বিপাকে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।

বেশ কয়েকজন যাত্রী অভিযোগ করেন, ফেরি বন্ধ রাখা হওয়ার বিষয়টি গতকাল শুক্রবার থেকে জানানো জরুরি ছিল। তাহলে তাঁরা ঘাটে আসতেন না। তাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ভোর ৬টা থেকে ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ফেরি বন্ধের খবর পেয়ে অনেকেই রাতেই ঘাটে এসে পৌঁছেছেন। সারা রাত যত দূর সম্ভব গাড়ি পার করেছি। এখনো পাটুরিয়া প্রান্তে কয়েক শ শুধু ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায়। শুধুমাত্র একটি ছোট ফেরি দিয়ে বিশেষ বিবেচনায় রোগী, লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স পার করছি।‘

লকডাউনের কারণে ১৪ এপ্রিল থেকে ফেরি চলাচল সীমিত করা হয়। তবে শুক্রবার থেকে যাত্রী ও জরুরি প্রয়োজনে আসা যানবাহনের চাপ বেশি থাকা প্রায় সব কয়টি ফেরি চলাচল করে। কিন্তু এসব ফেরিতে জরুরি প্রয়োজনে আসা যাত্রী, অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কুরিয়ার সার্ভিসের গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপারের কথা থাকলেও সাধারণ যাত্রীরাই বেশি পারাপার হতে দেখা যায়। এইসব মাথায় রেখে বিআইডব্লিউটিসির পক্ষ থেকে শনিবার সকাল থেকে দিনের বেলায় ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply