fbpx

বরিস জনসনের পদত্যাগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত দুইদিন ধরে মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতাদের পদত্যাগে যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে নাটকীয়তার মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেখানেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি। সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সংক্ষিপ্ত ভাষনে বরিস বলেন, পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের দাবি একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী আসুক। নতুন প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের সময়সীমা আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা করা হবে।

সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য এতদিন অপেক্ষা করেছিলেন কারণ ব্যক্তিগতভাবে বৃটিশ ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে চেয়েছিলেন। বরিস জনসন মনে করেন, এটি তার দায়িত্ব।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এর মধ্যে বহুল আলোচিত ব্রেক্সিট সম্পন্ন করা, যুক্তরাজ্যকে করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা এবং ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের হামলার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য পশ্চিমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান বরিস।

সরকার পরিবর্তনের পক্ষে না ছিলেন না জানিয়ে তিনি বলেন, সহকর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাতে সফল হননি। তবে প্রধানমন্ত্রিত্বের মেয়াদপূর্ণ করতে না পারাকে অত্যন্ত ‘বেদনাদায়ক’ বলে মন্তব্য করেন বরিস জনসন। বলেন, নিজ দলের সমর্থন ধরে রাখতা না পারায় সফল হননি তিনি।

ভাষণে সবশেষে তার স্ত্রী-সন্তান এবং ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস, সশস্ত্র বাহিনী এবং ডাউনিং স্ট্রিটের সব স্টাফদের প্রতি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান বরিস জনসন।

তবে দলের নতুন নেতা বেছে নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বরিস বলেন, ‘নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখন থেকেই শুরু হওয়া উচিত। আজ আমি একটি মন্ত্রিসভা নিয়োগ দিয়েছি। একজন নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি দায়িত্ব পালন করবো’।

Advertisement
Share.

Leave A Reply