fbpx

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার সর্বোচ্চ, ডব্লিউএইচও’র উদ্বেগ

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

গত ২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে  চলতি বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা এবং মৃত্যুহার। অস্বাভাবিক এই মৃত্যুহার বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এজন্য মশার বংশবিস্তারে দেশের অনুকূল পরিবেশকে দায়ী করেছে সংস্থাটি।

শুক্রবার (১১ আগস্ট) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৩২৭ জনের আর ১ জানুয়ারি থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ৬৯ হাজার ৪৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। যার মধ্যে ৬২ শতাংশ শনাক্ত এবং ৬৩ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে শুধু গেল জুলাই মাসেই। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুহার বেড়ে ০.৪৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা গত ৫ বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

আরও বলা হয়েছে, যদিও বাংলাদেশে ডেঙ্গু মহামারী, কিন্তু বর্তমানে ডেঙ্গুর বৃদ্ধি অস্বাভাবিক এবং আগের বছরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এই ঢেউ শুরু হয়েছিল জুনের শেষের দিকে। আগের বছরের তুলনায় এই বছর এখন পর্যন্ত মৃত্যুহার তুলনামূলকভাবে বেশি।

প্রাক-বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার জরিপে দেখা যায় যে, মশার ঘনত্ব এবং সম্ভাব্য হটস্পটের সংখ্যা গত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রা এবং উচ্চ আর্দ্রতা, অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষাপটে কারণে সারা বাংলাদেশে মশার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডব্লিউএইচও এর তথ্যমতে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে চলতি বছর ২০২৩ সালের মে মাস থেকে বাংলাদেশে ডেঙ্গুর অস্বাভাবিক বিস্তার শুরু হয়েছে যা এখনও অব্যাহত আছে। ২০০০ সাল থেকে রেকর্ড করা তথ্য অনুযায়ী একই সময়ের তুলনায় চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

 

Advertisement
Share.

Leave A Reply