fbpx

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো শিশুর ওপর জিন থেরাপি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হাঁটার বয়সে হাঁটতে না পারা, ঘাড় ঘুরিয়ে আকাশ দেখতে না পারাকে স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি বলা হয়। স্নায়বিক এ রোগ শিশুদের হয়ে থাকে বংশগতির মাধ্যমে। জেনিটিক এ রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। সেই চিকিৎসা বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দেয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে দুই বছর বয়সী এক ছেলে শিশুকে জিন থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়া হয়। গতকাল বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি পর্যায়ে এটি করতে গেলে খরচ পড়ত ২২-২৩ কোটি টাকা। জিন থেরাপির মাধ্যমে এ চিকিৎসা সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য বিভাগের জন্য বড় একটি মাইলফলক।

চিকিৎসকরা জানান, স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি একটি জিনগত রোগ। যেসব ছেলে শিশু বাবার কাছ থেকে এ জিন পায় তারা ১২-১৬ বছর বয়সের মধ্যে মারা যায়। এ রোগে শিশুদের পেশি দুর্বল ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে সামান্য নড়াচড়াতেও অসুবিধা হয়। মস্তিষ্ক, শিরা ও মেরুদণ্ডের কোষ ক্ষয় হতে থাকে। মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে পেশিতে কাজের সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয়। যত দিন যায় সমস্যা তত বাড়তে থাকে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ রোগের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। চিকিৎসায় ব্যবহূত একটি ইনজেকশনের দাম পড়ে বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ২২ কোটি টাকা। অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় বিনা চিকিৎসায় আমাদের দেশে প্রতি বছর মারা যাচ্ছে অনেক শিশু।

Advertisement
Share.

Leave A Reply