দেশের শান্তিরক্ষীগণ যে মিশনেই গেছেন, সেখানেই জাতিসংঘের পতাকাকে সমুন্নত রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করেছেন। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেও তারা অনেক সামাজিক কাজ করেছেন। এ কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) ‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা ২০২১’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা ২০২১’ এর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশসহ ভারত, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার ১২৩ জন সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেন। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে চার দেশের চারজনকে সনদ তুলে দেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তবে, অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককে এ সনদ দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী এতে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের সেনাসদস্যদের উদ্দেশ্যে এ সময় বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চয়ই আপনাদের দেশের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ়, বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতাপূর্ণ হবে।’
তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্বে শান্তি নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাসের মতো অদৃশ্য শত্রু, প্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ও সময়ের অগ্রযাত্রার সাথে সাথে নতুন নতুন হুমকির উপাদানও সৃষ্টি হয়েছে। তাই দেশের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রশিক্ষিত সামরিক বাহিনী অপরিহার্য। আর সেজন্যই সামনের সময়ে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে নতুন সংকট মোকাবেলা করতে শান্তিরক্ষীদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম দেওয়ার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এতো সুন্দর ও সফলভাবে অনুশীলনের আয়োজন করায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘অনুশীলন শান্তির অগ্রসেনা ২০২১’ সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ভারতের আর্মি চিফ মনোজ মুকুন্দ নারবান। এছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের প্রতিনিধিরা।