দেশে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় চিনির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত চিনি আছে। কাজেই চিনি নিয়ে নেতিবাচক কোন প্রভাব দেখা যাচ্ছে না। জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, যে সমস্যা পেয়েছি তা হলো, গ্যাসের সরবরাহের অপ্রতুলতা, যার কারণে ৬৬ শতাংশের বেশি চিনি উৎপাদন করা যাচ্ছে না। আশা করি, দু-একদিনের মধ্যে গ্যাসের সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যে পরিমাণ চিনি দরকার, তা উৎপাদন সম্ভব হবে।
চিনির সরবরাহ ঠিকভাবে হওয়া দরকার। সরবরাহ ধীরগতি হলে সমস্যা, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে বিক্রি করা যাবে বলেও জানান তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে; তা প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলেই এটি প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে, তারা বলছে পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটছে।
চলমান বিদ্যুৎ সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিদ্যুতের অবস্থা উন্নতি হবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরেই বাজারে চিনির সংকট চলছে। পাইকারি ও খুচরা পর্যায়েই খোলা চিনির দাম সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। আর সরকার নির্ধারিত ৯৫ টাকা দরের প্যাকেটের চিনিও বাজার থেকে উধাও।
এদিকে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে শিগগিরই সয়াবিন তেলের দাম আবার সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক সংকটের কারণেই মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সময়টা যে খারাপ যাচ্ছে সে কথা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে সে ক্ষেত্রে সরকার এক কোটি পরিবারকে সাশ্রয়ী মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এর আগে ৩ অক্টোবর সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমিয়ে দেয় মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। নতুন দাম অনুযায়ী, বোতলজাত এক লিটারের দাম ১৭৮ টাকা ও ৫ লিটারের দাম ৮৮০ টাকা করা হয়।