fbpx

রাজধানীতে বাসে ই-টিকেটিং সিস্টেম: সুবিধার সাথে আছে ভোগান্তিও

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ঢাকায় গণপরিবহনগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ঠেকাতে চালু হয়েছে ই- টিকেটিং সিস্টেম। শহরের বিভিন্ন বাস স্টপেজে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতি।

আর এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে ‘যাত্রী সার্ভিসেস লিমিটেড’। এর ফলে আগের মত যত্রতত্র গাড়িতে যাত্রী উঠাচ্ছে না পরিবহনগুলো। নির্দিষ্ট কাউন্টার থেকে একটি পজ মেশিনের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকেট কেটে গাড়িতে উঠছেন।

হঠাৎ করে এ ধরনের ব্যবস্থার ফলে কতটা সুফল বয়ে আনলো আমরা জানতে চেয়েছিলাম যাত্রীদের কাছে।

এতে করে বেশিরভাগ যাত্রীর অভিযোগ তারা সময়মতো গাড়ি পাচ্ছেন না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাড়িয়ে থাকলেও আগের তুলনায় গাড়ি কমে গেছে। যার ফলে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তারা। কেউ কেউ বলছেন, যারা টিকেটের দায়িত্বে আছেন তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে বাসগুলোতে উঠাও যায় না।

নিয়মিত চলাচলকারী যাত্রীদের কেউ বলছেন, আগেই ভালো ছিলো ঠিকঠাক গাড়ি পাওয়া যেত। এখন ঘণ্টাব্যাপী দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন ই- টিকেটিং ভালো হয়েছে তাতে করে বাসের ভেতর ভাড়া নিয়ে কোনো ঝামেলা হচ্ছে না।

রাজধানীতে সব পরিবহনে যুক্ত না হলেও ই- টিকেটিংয়ে চলছে মিরপুর রুটের কয়েকটি বাস। যেমন প্রজাপতি, পরিস্থান, নূর-ই মক্কা, অছিম, রাজধানী ও বসুমতি। এই কোম্পানিগুলো ই-টিকেট সুবিধা চালু করেছে। এই সিস্টেম চালু করার ফলে রুটে আগের তুলনায় বাস কমে গেছে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। আর ই-টিকেটিং সংশ্লিষ্টরাও বলছেন, নতুন সিস্টেম চালু হওয়ায় অনেক কোম্পানিই রুটে গাড়ি নামাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চেয়েছিলাম পরিবহনের মালিক পক্ষের কাছে। তারা বলছেন, কোনো ঝমেলা নেই সব ঠিক ঠাক।

প্রজাপতি গাড়ির ইনচার্য রাব্বী বলেন, আমরা এখনকার সিস্টেমে খুশি। আমাদের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হেলাপার আর ড্রাইভারের। এই সিস্টেমের কারণে তাদের বেতন আগের তুলনায় কমে গেছে তাই অনেকেই গাড়ি চালাচ্ছেন না। তবে এতে করে মালিকপক্ষের কোনো সমস্যা নেই, জানান রাব্বী।

এদিকে ড্রাইভাররা বলছেন এই সিস্টেম চালু হবার কারণে আগের তুলনায় তাদের বেতন কমে গেছে। তাই গাড়ি নিয়ে নামছেন না অনেকেই। একই সুরে সুর মেলালেন হেলপারও, বললেন বর্তমানের এ বেতনে পোষায় না তাদের।

এই পদ্ধতিতে যাত্রীরা নির্দিষ্ট কাউন্টারে পজ মেশিন থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। টিকিটের গায়ে যাত্রার বিবরণ থেকে টাকার পরিমাণ সবই উল্লেখ থাকবে। তাতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কোনো সুযোগ থাকবে না। এর ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমে সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা আসবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply