fbpx

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন দুই শতাধিক। আহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা রয়েছেন বলেও জানান শামীম হাসান।

এদিকে এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি দল। হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামক ভয়ংকর দাহ্য পদার্থ কারখানার ভেতরে থাকায় আগুন নেভানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা, আগুন যাতে আর ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য সেনাবাহিনীর ১৫০ থেকে ২০০ সদস্য অভিযানে কাজ করছেন বলেও জানা গেছে।

এই বিস্ফোরণের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক শোক বার্তায় এ তথ্য  জানানো হয়।

সেখানে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। প্রধানমন্ত্রী আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়ারও নির্দেশনা দেন।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে উদ্ধার তৎপরতা পরিচালনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বি এম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ আগুন লাগে।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, শনিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় তারা। এরপর তাদের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। কিছু পরে সেখানে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ভোরের দিকে আশপাশের জেলা থেকে পাঁচটিসহ ১০টি ইউনিট যোগ দেয়, তবে বিস্ফোরণ অব্যাহত থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আশপাশে যেতে পারেননি দীর্ঘক্ষণ। এর সঙ্গে যোগ হয় পানির স্বল্পতা।

ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ডিপোটির কনটেইনারে থাকা বিদেশ থেকে আমদানি করা হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের কারণেই এমন বিস্ফোরণ ঘটেছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply