fbpx

বাড়িতে করোনা আক্রান্তের দেখভালের সময় সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গোটা বিশ্ব করোনার থাবায় জর্জরিত। বাংলাদেশও তাঁর ব্যতিক্রম নয়। হাসপাতালে বেডের সংকট। তাই, বাড়িতেই করোনা রোগীর যত্ন নেওয়া কথা বলছেন চিকিৎসকেরা। ফলে ঘরে ঘরে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যেহেতু নিজেদেরই যত্ন নিতে হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশি সচেতন। খেয়াল রাখতে হবে যাতে পরিবারের একজনের থেকে আক্রান্ত না হয়ে পড়েন বাকিরা। আজ বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য থাকছে, রোগীর সেবা-যত্নের সময় কিভাবে সতর্ক থাকেবেন।

১। অন্তত দুইটি মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। মাস্ক ছাড়া রোগীর ঘরে ঢোকা যাবে না। রোগীকে হাত দিয়ে যত্নের ক্ষেত্রে হাতে গ্লাভস থাকাও জরুরি। তবে কোনও ভাবেই করোনা আক্রান্তের মুখে বা নাকে হাত দেওয়া যাবে না।

২। বাড়িতে একজন করোনায় আক্রান্ত হলে বাকিদেরও বিপদের আশঙ্কা থাকে। ফলে রোগীর ব্যবহার করা কোনও জিনিসে হাত না দেওয়াই ভাল। করোনা আক্রান্তের পোশাক, বিছানার চাদর, বাসন পরিষ্কার করতে হলে গ্লাভস পরে নিতে হবে। সে সময়ে মুখেও মাস্ক থাকাও জরুরি। কাজ হয়ে গেলে ব্যবহৃত গ্লাভস এবং মাস্ক জীবানুমুক্ত ব্যাগে ভরে সরিয়ে রাখুন। প্রয়োজনে পুড়িয়ে ফেলতে পারেন।

৩। রোগীর সঙ্গে এক ঘরে বসে খাওয়াদাওয়া করা যাবে না। চিকিৎসকেদের বক্তব্য, রোগীকে খেতে  হবে নিজের ঘরে বসেই। তার ব্যবহার করা সব বাসন রাখতে হবে একেবারে আলাদা। বাড়ির অন্য কেউ যেন এসবে হাত না দেয় সেদিকে সতর্ক করতে হবে সবাইকে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কোনভাবেই করোনা আক্রান্তের ঘরে ঢুকতে দেবেন না।

৪। রোগীর ঘরে বারবার না যাওয়াই ভাল। প্রয়োজন হলে তবেই যেতে হবে। সবচেয়ে ভাল হয় যেকোনো একজন রোগীর দেখভাল করা। সবার যাওয়ার দরকার নেই। এতে করে একজন সতর্ক থাকতে পারবে বেশি।

৫। মাস্ক খোলা ও পরার নিয়ম ভাল ভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। রোগীর ঘর থেকে বেরিয়ে এসে হাতে সাবান দিয়ে ভাল করে ধুতে হবে। ব্যবহৃত মাস্কের সামনের অংশে কখনও হাত দেওয়া যাবে না। কানের পাশের ইলাস্টিকে হাত দিয়ে মুখ থেকে মাস্ক সরাতে হবে। তার পরে আবার হাত স্যানিটাইজ করে নেওয়া জরুরি।

কথায় আছে, সাবধানের মার নেই। তাই, করোনা আক্রান্তের সেবা করার সময় আপনি যদি যথেষ্ট সচেতন থাকেন,  তাহলে আক্রান্ত হওয়ার ভয় খুব কম থাকে। তাই, নিজে সচেতন থাকুন, আশেপাশের মানুষকে সচেতন করুন। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে বাঁচুন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply