fbpx

বাড়ি ফেরা হয়নি সাড়ে ১০ হাজার বানভাসির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আহসানুল আলম জানিয়েছেন সিলেটে এখনো বাড়ি ফেরা হয়নি ১০ হাজার ৮১০ বানভাসির। ২১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের।

অন্যদিকে জেলার সব উপজেলায় বন্যাদুর্গতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর মেরামতের জন্য টাকা দেয়া হলেও মহানগরীর দুর্গতরা এখনো এ সহায়তা পাননি। বিভিন্ন কলোনির বাসিন্দারা আশ্রয় হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

জেলা প্রশাসন ও সিসিকের (সিটি করপোরেশন) তথ্যানুসারে, সিলেটে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৩৮৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩৩ জন মানুষ। এর মধ্যে ৪০ হাজার ৪১টি বাড়ি বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১০ হাজার করে পাঁচ হাজার পরিবারকে ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মহানগর এলাকার কোথাও ঘরবাড়ি মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল অথবা সিসিক থেকে কোনো অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে ২ হাজার ১১২ টন চাল, নগদ ২ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ১০ লাখ টাকার শিশুখাদ্য, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য, ২ হাজার বান্ডিল ঢেউটিন, গৃহমঞ্জুরি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৯২৮ টন চাল, নগদ ২ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বরাদ্দকৃত শিশুখাদ্য ও গো-খাদ্য, ২০ হাজার ২১৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া বানভাসিদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, সিলেট মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ১৪০ টন চাল ও নগদ ১৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, জেলার সব উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ঘর মেরামতের টাকা প্রদান করা হলেও মহানগরীতে এখনো এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়নি। নির্দেশনা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়ন করে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে।

উল্লেখ্য, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জের ৯০ ভাগ এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। সিলেটের ১৩ উপজেলার সবকটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ১৪-২৫ জুন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। এখনো অনেক এলাকা পানিতে নিমজ্জিত। বেশির ভাগ এলাকায় পানি কমলেও এখনো দক্ষিণ সুরমা ও বালাগঞ্জে বন্যার পানি রয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply