এক সময় বলিউড পাড়ায় রণবীর কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোনের সম্পর্ক নিয়ে তুমুল আলচনা হত। ২০০৭ সাল থেকে টানা দুই বছর সম্পর্কে ছিলেন রণবীর-দীপিকা। ২০০৯ সালে সম্পর্কের ইতি টানেন তারা।
২০১৮ সালে বলি অভিনেতা রণবীর সিং কে বিয়ে করে দীপিকা। বর্তমানে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা এলাকায় নতুন আস্তানা তৈরি নিয়ে ব্যস্ত এই জুটি। অন্য দিকে, ২০২২ সালে বলি অভিনেত্রী আলিয়া ভাটের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন রণবীর কাপুর। বর্তমানে শুটিং এবং কন্যাসন্তান রাহাকে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে রণলিয়া জুটি।
বিচ্ছেদের পরেও রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছে রণবীর এবং দীপিকাকে। বাস্তবে নয়, পর্দায়। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’, ‘তামাশা’ ছবিতে দুই তারকার সম্পর্কের রসায়ন পছন্দ করেছিল দর্শক।
বলিপাড়ার সূত্রে খবর, বিচ্ছেদের পরেও রণবীর এবং দীপিকার মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। এমনকি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর একে অপরের প্রতি অধিকারবোধ কম হয়ে যায়নি রণবীর এবং দীপিকার।
২০১৫ সালে দেওয়া এক পুরনো সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানিয়েছিলেন, রণবীরের সঙ্গে বিচ্ছেদ হলেও এমন এক সম্পর্ক রয়েছে যে অভিনেতাকে যখন খুশি ফোন করতে পারেন দীপিকা।
দীপিকা বলেছিলেন, ‘একে অপরের কোনও ছবি মুক্তি পেলে আমরা সেই ছবি দেখি। অভিনয়ের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা হয়। কী ভাল লাগল, কী ভাল লাগল না তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।’
বিচ্ছেদের পরেও রণবীরের প্রতি যে আগের মতোই অধিকারবোধ রয়েছে দীপিকার, তা আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন অভিনেত্রী। দীপিকা বলেন, ‘রণবীর এমন এক ব্যক্তি যাকে আমি সমস্ত বিপদ থেকে বাঁচাতে রাজি। যাকে আমি আগলে রাখি।’
অন্যদিকে রণবীরও কম যান না। দীপিকার ঘাড়ে ‘আরকে’ ইংরেজি অক্ষর দিয়ে একটি ট্যাটু আঁকা ছিল। বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, রণবীর কাপুরের নামের আদ্যক্ষর অনুযায়ী ট্যাটু করিয়েছিলেন অভিনেত্রী। দীপিকাকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ‘এই ট্যাটু কি আপনি ছবির প্রচারের জন্য রেখেছেন?’
এই প্রশ্ন শুনে দীপিকার কিছু বলার আগে রেগে গিয়ে রণবীর সাংবাদিককে বলেন, ‘এই প্রশ্নের মতো বোকা প্রশ্ন আমি জীবনে শুনিনি।’
শুধু অধিকার বোধই নয়, বিচ্ছেদের পরেও দুজনের মধ্যে যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তা বলিপাড়ায় কারও অজানা নয়।