fbpx

‘বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করলে মোস্তাফা জব্বার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবে, এমনটি ভাবার কিছু নেই’

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

আমদানি করা ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সব অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোনে বিজয় অ্যান্ড্রয়েড প্যাকেজ কিট (এপিকে) ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এই নির্দেশনার পর স্মার্টফোনে বিজয় কিবোর্ড থাকার বাধ্যবাধকতা প্রসঙ্গে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে মোবাইল কেনার পর সবাই যেন বাংলা লেখার একটি উপায় সেখানে পায় এবং সেটা যেন বিনামূল্যে হয়, সেটাই সরকার চায়। আর বিএসটিআই যেহেতু বিজয় কিবোর্ডকে ‘স্ট্যান্ডার্ড’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে, সে কারণে বিজয়ের কথাই বলা হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) নির্দেশনায়। তবে সবাইকে বিজয়েই বাংলা লিখতে হবে– এমন কোনো বাধ্যবাধকতা কোথাও দেওয়া হয়নি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ‘মোবাইল কোম্পানিগুলোও এগুলো (সফটওয়্যার) ফ্রি পাবে। স্পষ্ট, শতভাগ ফ্রি পাবে, বিজ্ঞাপন বা কিছুই থাকবে না। ব্যবহারকারী পুরো বিনামূল্যে এটি ব্যবহার করতে পারবে। এই ঘোষণায়, এই নির্দেশনায় মোস্তাফা জব্বার কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবে এমনটি ভাবার কিছু নেই।’

মোস্তাফা জব্বার প্রতিষ্ঠিত আনন্দ কম্পিউটার্স থেকেই ১৯৮৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয় বিজয় বাংলা কিবোর্ড ও সফটওয়্যার। বিজয় কিবোর্ডের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারও মোস্তাফা জব্বার পেয়েছেন।

স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বহু বছর আগে একটি নির্দেশনা দিয়েছে যে মোবাইল ফোনে বাংলার ব্যবহার করতে হবে। আমাদের যেগুলো ফিচার ফোন আছে সেগুলোতে অনেক আগেই বাংলার ব্যবহার বাস্তবায়ন হয়েছে, কিন্তু স্মার্টফোনের জন্য কোনো সলিউশন আগে ছিল না। এখন ২০১৭ সালে সরকার একটি প্রমিত কোড বা কিবোর্ড করেছে। এর প্রেক্ষিতে সফটওয়্যারও করা হয়েছে। বিজয়ের অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন আছে, যে ভার্সনটি গুগল প্লে স্টোর থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করা যায়। এখানে কোনো ব্যবসার বিষয় নেই।’

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “ব্যবহারকারীর দিক থেকে সে প্রথমত বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার পাচ্ছে, বাংলা লিখতে পারবে। এর বেশি আর কী সুবিধা এখান থেকে পাওয়ার আছে? আমরা বলেছি উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক তারা যেন সফটওয়্যারটা দিয়ে দেয়, যাতে ব্যবহারকারীর হাতের কাছে একটা বাংলা লেখার সফটওয়্যার থাকে এবং সেটা সে বিনামূল্যে পায়।”

তিনি বলেন, “যদি কোনো ব্যবহারকারী ভিন্ন কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করেন, তাতে তো কোনো বাধা নেই। সে ফোন হাতে নিয়ে (বিজয়) ডিলিট করে অন্য কোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করলেও আমাদের কিছু বলার নেই, সেটা তার খুশি। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তার কাছে বাংলা লেখার সফটওয়্যার বিনামূল্যে দেওয়া, সরকার সেটাই করছে। কেউ যেন না বলতে পারে যে ‘আমি বাংলা লেখার কিছু পাইনি’।”

সূত্র:  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর 

Advertisement
Share.

Leave A Reply