fbpx

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আবদুল হামিদ আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষণে এ নির্দেশ দেন। এসময় তিনি শিক্ষকসহ যেকোনো নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতাকে প্রাধান্য দেয়ার জোরালো তাগিদ দেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা ও গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তুলুন। যাতে তাদের এ জন্য বিদেশে পাড়ি দিতে না হয়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে আয়োজিত এ সমাবর্তনে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, শিক্ষকদেরকে তরুণ গবেষকদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি আশা প্রতাশ করেন, উপাচার্যের নেতৃত্বে ও ছাত্র-শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকান্ডে সমাজে শিক্ষকদের সম্মানের জায়গা ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে।

তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক অসাধু লোকের কর্মকান্ডের জন্য গোটা শিক্ষক সমাজের মর্যাদা যেন ক্ষুন্ন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাকে ঐচ্ছিক দায়িত্ব মনে করেন। বৈকালিক কোর্স বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়াকেই তারা অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন।

আবদুল হামিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সবাই কৃতি ও সেরা ছাত্র ছিলেন। ‘আমার বিশ্বাস আপনারা যে কোনো ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মঠ আর যোগ্য নেতৃত্বে কিছুদিনের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কিন্তু এই ডিজিটাল যুগেও প্রায়ই অভিযোগ শোনা যায় যে, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট উত্তোলন পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরে ছাত্র-ছাত্রীরা অবহেলা আর হয়রানির মুখোমুখি হন।’

এসময় রাষ্ট্রপতি শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার, কাউন্সেলিং এন্ড সাপোর্ট সেন্টার এবং ক্যারিয়ার প্লানিং ইউনিট চালু করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার একটি প্রতিষ্ঠান নয়, দেশের নেতৃত্বের প্রতীক এবং ভাষা আন্দোলন, মুক্তিসংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলনের নিউক্লিয়াস হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অভিহিত করেন রাষ্ট্রপতি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এবং উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালও বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, বিভিন্ন কূটনৈতিক মিশনের প্রতিনিধি, ঢাবির সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, অতিথি এবং বিভিন্ন বিষয়ে ডিগ্রিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকরা সমাবর্তনে অংশ নেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply