বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাথমিক শিক্ষার্থী প্রিসিলা সিতিয়েনি মারা গেছেন। ৯৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তার নাতি স্যামি চেপসিরর।
প্রিসিলা সিতিয়েনি ৯৪ বছর বয়সে কেনিয়ার রিষ্ট ভ্যালি গ্রামের স্থানীয় একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষককে রাজি করিয়ে ভর্তি হন।
স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৯০-এরও বেশি বছর বয়সে তার শিক্ষা অর্জনের সংকল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে একটি ফরাসি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়। পরে সেই চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো।
প্রিসিলার নাতি স্যামি চেপসিরর সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘১৭ নভেম্বর বুকের ব্যাথাজনিত জটিলতায় নিজ বাড়িতে মারা যান প্রিসিলা সিতিয়েনি।’
স্যামি আরও জানান, ‘প্রিসিলা সুস্থ ছিলেন, মৃত্যুর তিন দিন আগ পর্যন্ত ক্লাস করেছেন। বুকের ব্যথার কারণে শেষ কয়েকদিন তিনি স্কুলে যেতে পারেননি। আমরা তার শতায়ু জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।’
৯৪ বছর বয়সে কেনিয়ার রিষ্ট ভ্যালি গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির কারণে তিনি তার সম্প্রদায় ও এর বাইরে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসা কুড়ান- বলছে ইউনেস্কো।
২০২১ সালে জাতিসংঘের একটি সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাতকারে প্রিসিলা সিতিয়েনি জানান, তার উদ্দেশ্য ছিল কেনিয়ার অল্পবয়সী মায়েদের সন্তান হওয়ার পরে লোকলজ্জা বা সামাজিক কলঙ্কের ভয়ে স্কুল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে স্কুলে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করা।
প্রিসিলা বলেছিলেন, শিক্ষা আপনার ভবিষ্যৎ। শিক্ষা চিরকাল আপনার মাথায় থাকে এবং একবার এটি পেলে আপনি তা হারাবেন না।’
তার মৃত্যুর খবরে ফরাসি চলচ্চিত্রটির কো-রাইটার প্যাট্রিক পেসিস বৃহস্পতিবার তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। তিনি টুইট করে বলেন, ‘নারী শিক্ষা বিষয়ে প্রিসিলা সিতিয়েনির বার্তা অমর হয়ে থাকবে।’