fbpx

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস: করোনায় বেড়েছে সচেতনতা

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

রোগ জীবানু থেকে সুরক্ষা পেতে ঘনঘন হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই। করোনা মহামারী শুরু হবার পর, ভাইরাস প্রতিরোধে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়ার কর্মসূচী বাস্তবায়নে শুধু যে করোনা থেকে সুরক্ষা পাওয়া গেছে তা নয়, একইসঙ্গে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা রোগ জীবানু থেকেও সুরক্ষা পেয়েছে মানুষ, বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে হাত ধোয়া দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘আওয়ার ফিউচার ইজ অ্যাট হ্যান্ড, লেটস মুভ ফরোয়ার্ড টুগেদার’ অর্থাৎ ‘আমাদের হাতে আমাদের ভবিষ্যৎ, চলো একসঙ্গে এগিয়ে চলি।’

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘হাত ধোয়া আমাদের করোনা থেকে বেশ খানিকটা সুরক্ষিত রাখে। করোনাকালে গড়ে ওঠা হাত ধোয়ার অভ্যাস টিকিয়ে রাখতে পারলে ভবিষ্যতেও নানা রোগ জীবানু প্রতিরোধে ভাল ফল পাওয়া যাবে।

জেনে নেই কখন কীভাবে হাত ধুলে নিরাপদে থাকবে সবাই।

১. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ সেকেন্ড ধরে দুই হাতে ভালোভাবে সাবান ঘসে তারপর পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। এতে করোনাভাইরাসসহ অন্য জীবানুরাও আর টিকতে পারে না।

২. সাবান পানি না থাকলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা জীবানুমুক্তকরণ সামগ্রী দিয়ে হাত জীবানুমুক্ত করে নিতে হবে।

৩. বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর কোন কিছু স্পর্শ না করে সাবান দিয়ে ভালোমতোন হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৪. খাওয়ার আগে ও টয়লেট থেকে ফেরার পর অবশ্যই সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

২. কাঁচা মাছ,মাংস, পশু–পাখি স্পর্শ করার পরেও ভালো করে হাত ধুতে হবে।

৩. হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করার পর অথবা হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি-কাশি দেওয়ার পরেও সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৪. হাসপাতাল বা রোগীর সংস্পর্শে এলেও ভালো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

৫. কর্মস্থলে কিছুক্ষণ পর পর হাত ভালোভাবে সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৬. ছোট শিশুদের খেলাধুলার পর পরই ভালোভাবে হাত ধুয়ে দিতে হবে।

৭. বাড়ির বয়স্কদের মনে করিয়ে দিতে হবে, যেকোন কাজ শেষে হাত ধুলে পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি জীবানুমুক্ত থাকা সম্ভব হবে।

বার বার সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার পর ত্বক যেনো রুক্ষ হয়ে না যায়, তার জন্যে প্রতিবার হাত ধোয়ার পর লোশন দিয়ে হাত ভালোভাবে ময়ে্শ্চারাইজ করে নিতে হবে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply