দুই ধাপে স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বুয়েট। এবার করোনাভাইরাসের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সকল পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। এবারের মোট আসনসংখ্যা হলো ১ হাজার ২১৫টি। এরমধ্যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য এলাকার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীভুক্ত প্রার্থীদের প্রকৌশল বিভাগ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের জন্য মোট ৩টি এবং স্থাপত্য বিভাগে ১টি সংরক্ষিত আসন রয়েছে।
আগামী ৩১ মে ও ১ জুন বুয়েটের প্রাথমিক বাছাই বা নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন, আগামী ১০ জুন তারা চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত রয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে বুয়েটের স্নাতক ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরু হয়। যা চলবে ২৪ এপ্রিল বেলা তিনটা পর্যন্ত। এই প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য ‘ক’ গ্রুপের (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ) আবেদনের ক্ষেত্রে প্রাক-নির্বাচনী ও মূল ভর্তি বাবদ ১ হাজার এবং ‘খ’ গ্রুপের (প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগ) জন্য ১ হাজার ২০০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ফি দিতে হবে।
এরপর চার শিফটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে এক ঘণ্টার প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩১ মে ও ১ জুন। তারপর জুলাইয়ের ১ তারিখে নির্বাচিত ও অপেক্ষমান প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর ৫ জুন মূল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য আবেদনকারীদের নাম প্রকাশ করবে বুয়েট। আর ১০ জুন অনুষ্ঠিত হবে বুয়েটের মূল ভর্তি পরীক্ষা। পরবর্তীতে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১ জুলাই।
ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার নিয়ম ও ভর্তির নির্দেশিকা পাওয়া যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই ঠিকানায় – (https/www.buet.ac.bd)। ভর্তি পরীক্ষার সবকিছুই বুয়েটের এই ওয়েবসাইট ও নোটিশ বোর্ডে পাওয়া যাবে।
এদিকে, গত শনিবার বুয়েটের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার একটি প্রশ্নপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। বুয়েট জানায়, আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রশ্নের বিষয়ে ধারণা দিতেই এমনটি করা হয়েছে।
