ইন্টারনেট ব্যবহারে শিশু-কিশোরদের পাশাপাশি অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা অভিভাবকদের এ অনুরোধ জানায়।
প্রতিষ্ঠানটি ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের প্রতি জরুরি কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারে ঝুঁকি ও সুবিধা সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পাশপাশি শিশু ও কিশোরদের সচেতনতা বাড়াতে বলেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জ্ঞান অর্জন এবং বিনোদনের লক্ষ্যে সঠিক ওয়েবসাইট ও অনলাইন গেম নির্বাচনে অভিভাবকরা সচেতন থাকুন।
বিটিআরসি বলছে, মোবাইল ফোন, ট্যাব অথবা কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবারের মধ্যে সুনির্দিষ্ট নিয়ম-নীতি নির্ধারণ করে তা অনুসরণের জন্য সন্তানদের উৎসাহিত করুন। এক্ষেত্রে নিজেদের সন্তানদের জন্য আদর্শ হিসেবে গড়ে তুলুন।
ইন্টারনেটের ক্ষতিকারক কনটেন্ট থেকে সন্তানকে নিরাপদ রাখার জন্য বিনামূল্যে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের প্যারেন্টাল গাইডেন্স সুবিধা নিন।
শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের পাসওয়ার্ড যেনো কখনও কারো সঙ্গে শেয়ার না করে, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। অ্যাকাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এবং Two Factor Authentication প্রক্রিয়া ব্যবহারে সন্তানদের উৎসাহিত করুন।
বাক্তিগত তথ্য যেমন- জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি, স্কুল-কলেজের নাম, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর, বাড়ির ঠিকানা, লোকেশন ইত্যাদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না ব্যবহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন।
ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত ছাড়া অপরিচিত কাউকে ইন্টারনেটে বন্ধুত্বের অনুরোধ অথবা কারো বন্ধুত্ব গ্রহণ করার বিষয়ে সন্তানদের নিরুৎসাহিত করুন। পাশাপাশি অনলাইন বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করা থেকে সন্তানদের বিরত রাখুন।
পাশাপাশি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট বিষয়ের উপর বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার ফেসবুক লাইভে থাকবেন বলেও উল্লেখ করা হয়।