সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের হারটা শুধু সময়ের অপেক্ষা ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে যখন জয়ের জন্য ৫১১ রানের লক্ষ্য পেলো এবং হাতে যখন ২ দিনেরও বেশি সময় বাকি, তখন বাংলাদেশ দলের পরাজয় ছিল অবশ্যম্ভাবী।শ্রীলঙ্কার সেই অপেক্ষা দীর্ঘায়িত করছিলেন মমিনুল হক।
চতুর্থ দিন দ্বিতীয় সেশনে মুমিনুলের ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস বাংলাদেশের হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। শেষ পর্যন্ত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ১৮২ রানে। ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে শান্ত-মিরাজরা।
সিলেটে প্রথম টেস্টে তৃতীয় দিনের ৪৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে দিন শেষের পর চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ লড়েছে লাঞ্চের কিছুটা বেশি। একপ্রান্তে মুমিনুল হক টিকে থেকে দেখেছেন বাকিদের আসা যাওয়া। দিনের শুরুতেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার এই ম্যাচে বেশি কিছু করতে পারলেন না। ৬ রান করে কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
৫১ রানে ৬ উইকেট পতনের পর অনেকটা সময় মুমিনুলকে সঙ্গ দেন মিরাজ। দুজনে বেশ অনেকটা সময় দেখেশুনে ক্রিজে থেকেছেন। গড়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি। ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে রানে ৬৬ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। তবে দলীয় ১১৭ রানে ৫০ বলে ৩৩ রানে সাজঘরে ফিরে যান মিরাজ।
তবে এরপর দ্রুতই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শরিফুল ৪২ বলে ১২ ও খালেদ আহমেদ রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। শেষ ব্যাটার হিসেবে নাহিদ রানা আউট হলে ৪৯ ওভার ২ বলে ১৮২ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৪৮ বলে ৮৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল। তৃতীয় দিনে লঙ্কান অধিনায়ক ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা।
এর আগে তৃতীয় দিনে লঙ্কান অধিনায়ক ধানাঞ্জায়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে ৫১১ রানের বিশাল টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা।