fbpx

ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকার সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। তিনি ফুটবল খেলোয়াড়দের এমনভাবে নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তারা ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ খেলতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে। তবে বাংলাদেশ কোয়ালিফাই করতে পারেনি। আমি আশা করি বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে এবং তোমাদের নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।’

গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট, বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেসা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বালিকা (অনূর্ধ্ব-১৭) চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলগুলোর মধ্যে ট্রফি ও পুরস্কার বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফুটবল টুর্নামেন্টে উপজেলা, ‘জেলা ও জাতীয় পর্যায়ের ১ লাখ ১০ হাজার ৫৫২ জন ছেলে ও মেয়ের অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এটি একটি বিস্ময়কর ঘটনা। আমি মনে করি, বিশ্বে এমন আর কোনো দেশ নেই, যেখানে এত বিপুলসংখ্যক ফুটবলার এ ধরনের টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। ১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে সরকার খেলাধুলায় মানুষকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টা ছিল আমাদের সন্তানদের ফুটবল, ক্রিকেট ও অন্যান্য খেলাধুলাকে আরো উৎসাহিত করা। আমাদের শিশুরা যত বেশি খেলাধুলায় নিজেকে নিয়োজিত করবে আমরা তত বেশি সুবিধা পাব। আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য খেলাধুলা নিশ্চিত করা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ৪০ জন ছেলে ও ৪০ জন মেয়েকে তাদের প্রতিভা বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) তিন মাস প্রশিক্ষণ দেয়া হবে এবং তাদের মধ্যে কয়েকজনকে প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে পাঠানো হবে।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, তৃণমূলের মেধাবীদের বের করে আনার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এখন পর্যন্ত তারা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে। তারা এমনকি বিশেষভাবে চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের খেলাধুলায় উৎসাহিত করেছে এবং তারা অনেক আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সেনাপ্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

Advertisement
Share.

Leave A Reply