fbpx

ভারতে চলছে রোহিঙ্গা গ্রেফতার অভিযান

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

ভারতে চলছে রোহিঙ্গা গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান। দেশটিতে লুকিয়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের খুজে বের করছে পুলিশ। ভারতীয় পুলিশ এক অভিযানে ৭৪জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে।

কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে বলছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৪জন মহিলা এবং পাঁচ শিশু রয়েছে যারা উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের ছয়টি জেলায় অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে বসবাস করছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ গ্রুপ বলেছে যে আটক ব্যক্তিরা প্রায় দশ বছর ধরে ওই এলাকায় বসবাস করছিলেন।

অন্যদিকে ভারতীয় পুলিশ বলেছে, তারা উত্তর প্রদেশে ‘অবৈধভাবে’ বসবাস করার জন্য এই রোহিঙ্গাদের গ্রেফতার করেছে।

পুলিশ তাদের বিবৃতিতে আরও বলছে, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৫৫ জন পুরুষ, ১৪ জন মহিলা এবং পাঁচ শিশু রয়েছে। গ্রেফতারকৃত নারীদের মধ্যে কমপক্ষে একজন নারী বর্তমানে গর্ভবতী।

রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভ ক্যাম্পেইন গ্রুপ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তিরা মিয়ানমারে নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসার পর প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছিল।

এমনকি অনেকেই আবর্জনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। ইনিশিয়েটিভ ডিরেক্টর সাব্বের কিয়াও মিন বলেছেন, ‘তারা এখানে শুধু আশ্রয় দাবি করেছে!’

সম্প্রদায়টি অনুরোধ করছে, এই আটক বন্ধ করার জন্য।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা, নারীদের ধর্ষণ এবং তাদের কয়েক ডজন গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার পর কয়েক লাখ রোহিঙ্গা মায়ানমার ছেড়ে ভারত সীমান্তবর্তী বাংলাদেশসহ পাশের দেশগুলোতে পালিয়ে অবস্থান করছে।

জাতিসংঘ বলেছে , রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান ‘গণহত্যার পরিকল্পনা’ নিয়েই মূলত পরিচালিত হয়েছিল এবং বর্তমানে কিছু জেনারেল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হচ্ছেন।

নয়াদিল্লি ১৯৫১ সালের জাতিসংঘ শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষর করেনি, যা শরণার্থীদের অধিকার এবং তাদের সুরক্ষার জন্য রাষ্ট্রের দায়িত্বগুলিকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত শরণার্থীদের সুরক্ষার জন্য সংস্থাটির নিজস্ব কোন আইনও নেই।

রোহিঙ্গা হিউম্যান রাইটস ইনিশিয়েটিভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা আলী জোহরের মতে, তাদের নির্বাসনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কিছু মামলা চলমান রয়েছে এবং গত বছরের প্রথম দিকেও প্রায় ১৮০০০ রোহিঙ্গা ভারতে বসবাস করেছিল।

ভারতে অবস্থানকারী রোহিঙ্গা কর্মীরা এই অনাকাঙ্ক্ষিত এই গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে, তারা সরকারকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিশ্চিতকরণের স্বীকৃতির প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। কিয়াও মিন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া এবং অন্য সবার মতো মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা ও মর্যাদা পাওয়ার অধিকার আছে।

তিনি আরও বলেন যে, আটককৃতরা ভারতে আশ্রয় চেয়েছে, কোনো অপরাধ তো করেনি। আন্তর্জাতিক আইন, পূর্ববর্তী বিচারিক রায় এবং ভারতের সংবিধান তাদের রক্ষা করতে বাধ্য। আটকদের মধ্যে গর্ভবতী মহিলা, শিশু এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সহিংসতার শিকার হয়েছে।

Advertisement
Share.

Leave A Reply