fbpx

মওলানার ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর আজ ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের এই দিনে রাজধানীর তৎকালীন পিজি হাসপাতালে (বর্তমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুকে বরণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে হাতে নেয়া হয়েছে বিস্তারিত কর্মসূচি।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সবসময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তার অত্যন্ত সাদাসিধে জীবনযাপন দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসারই প্রতিফলন। মওলানা ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে বলেও প্রত্যাশা রাষ্ট্রপতির।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে মওলানা ভাসানীর আদর্শিক ঐক্য ও রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, শোষণ-বঞ্চনাহীন ও প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের জন্য মওলানা ভাসানী আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।

সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মওলানা ভাসানী। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও তিনি জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন মওলানা ভাসানী।

এদিকে মওলানা ভাসানী স্মরণে আজ বেলা ৩টায় নিজেদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনাসভার আয়োজন করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মওলানা ভাসানীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও সমাবেশের আয়োজন করেছে ন্যাপ ভাসানী ও ভোটার মঞ্চ। এছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ সকালে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মরহুমের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবে। একই সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে রাজধানীতে হবে আলোচনাসভা।

Advertisement
Share.

Leave A Reply