fbpx

মানবতাবোধ দিয়েই দেশের মানুষকে সেবা করে যাবো: প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

প্রধানমন্ত্রিত্ব মানে ভোগবিলাসে গা ভাসিয়ে দেয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ। তাই রাষ্ট্রপরিচালনার ক্ষেত্রে আমি এটুকু বলতে পারি, আমি কিন্তু মানবতাবোধ দিয়েই এ দেশের মানুষকে সেবা করে যাব, আমার মতো করে, আমি সেই সেবাটাই মানুষকে দিয়ে যাচ্ছি।‘

সোমবার (৬ জুন) সকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মলেন কেন্দ্রে বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সুবর্ণজয়ন্তী ও সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ক্ষমতাটা আমার কাছে একটা সুযোগ, বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার। এখানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ভোগবিলাসে গা ভাসিয়ে দেয়া নয়; বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করবার এবং তাদের সেবা দেয়ার একটা সুযোগ হিসেবে আমি মনে করি। কাজেই আপনারাও যে যেখানে, যে প্রফেশনে থাকেন, আপনারা মানবতাবোধ নিয়ে মানুষের পাশে থাকবেন। এটাই হচ্ছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’

অনুষ্ঠানে তিনি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্র বাড়াতে চিকিৎসকদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমি আশা করি, এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চয়ই আরও মনোযোগী হবেন। আমাদের দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, আমাদের প্রকৃতির সঙ্গে অনেক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সেগুলো থেকে মানুষকে মুক্ত করা, এটাও কিন্তু আমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের অনেক ভালো মেধা। আমাদের দেশের চিকিৎসকরা যদি বিদেশে গিয়ে এত ভালো করতে পারে, নিজ দেশে পারবে না কেন? সেটাই আমার প্রশ্ন। তারা তো দেশে আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেন।’

গবেষণা খাতে চিকিৎসকদের সব ধরনের সহযোগিতার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকের ব্যবহারে রোগী অর্ধেক সুস্থ হয়ে যায়। তাই সেবার ব্রত নিয়েই রোগীদের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘সেই বিষয়টার দিকেও একটু বিশেষভাবেই দৃষ্টি দিতে হবে যে, এটা শুধু একটা পেশা হিসেবে না; মানুষের সেবা করেন, সেবার ব্রত নিয়ে আপনারা মানুষের পাশে থাকবেন। সেটাই আমরা আশা করি। কারণ ডাক্তারের কথায় রোগী অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। সেটা হলো বাস্তবতা।’

এসময় আওয়ামীলীগ সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জেলায় জেলায় হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা ও আগুনে পোড়া রোগীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রত্যেকটা জেলা হাসপাতালে এই চিকিৎসাগুলো যাতে মানুষ পেতে পারে, অর্থাৎ হার্ট, কিডনি, বার্ন ইউনিট এই সবগুলো কিন্তু আমরা পর্যায়ক্রমিকভাবে করে দিচ্ছি। এখন আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়েছি। চিকিৎসার জন্য শুধু ঢাকায় আসতে হবে না, তারা যেন স্থানীয়ভাবে চিকিৎসাটা নিতে পারে, তার ব্যবস্থাটাও আমরা করে দিচ্ছি।’

শুধু ডিপ্লোমা নয়, নার্সিংয়ে গ্র্যাজুয়েশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘নার্সদের ট্রেনিং দেশের বাইরে থেকে করিয়ে আনা হয়েছে। যেমন থাইল্যান্ডে, ইন্ডিয়াতে, অর্থাৎ বিভিন্ন দেশে আমরা তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি হাসপাতালে ওয়েবক্যাম স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ওয়েবক্যাম আমরা দিয়ে দিয়েছি। এটাকে ভবিষ্যতে আমরা আরও উন্নত করব। সেই পরিকল্পনাটাও আমরা নিয়েছি, বিশেষায়িত চিকিৎসাটা যেন অনলাইনে পেতে পারে।

শেখ হাসিনা এসময় অসংক্রামক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে জানিয়ে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি বিভাগেই এ বিষয়ে একটি হাসপাতাল তৈরি করা এবং সেবাটা দেয়ার ব্যবস্থা আমরা করব। আর বিভিন্ন জেলা হাসপাতালগুলোতে কিডনি ডায়ালাইসিস, অন্যান্য হার্টের চিকিৎসার পরীক্ষার ব্যবস্থা যাতে হয়, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যথাযথভাবে ডায়াগনসিস করা, এটা সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সেটার ওপর আপনারা একটু গুরুত্ব দেবেন, সেটা আমরা চাই।’

Advertisement
Share.

Leave A Reply