fbpx

মানবাধিকার রক্ষার নামে রাজনৈতিক চাপ চাই না : প্রধানমন্ত্রী

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মানবাধিকার রক্ষার ইস্যু ব্যবহার করে উন্নয়নশীল দেশের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের ৭৫তম বার্ষিকী পালন করছি। এই মাহেন্দ্রক্ষণে বিশ্ব মানবতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে সবার জন্য সমতা, ন্যায্যতা, স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি মানবাধিকার রক্ষার বিষয়টি যাতে উন্নয়নশীল দেশের ওপর রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টিতে ব্যবহৃত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে।’

 

জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আজ এই অধিবেশনে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করতে চাই যে, বাংলাদেশ সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে যাবে।’

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সবার মৌলিক মানবাধিকারের নিশ্চয়তা প্রদান করে। সবাইকে আইনগত সুরক্ষা প্রদান ও সুবিচার নিশ্চিত করতে গত এক দশকে বাংলাদেশের আইনি ব্যবস্থার তাৎপর্যপূর্ণ সংশোধন করা হয়েছে। একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে, জনগণের মানবাধিকার রক্ষায় আমরা সম্পূর্ণরূপে অঙ্গীকারবদ্ধ।

শেখ হাসিনা বলেন জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে আমরা সারা বিশ্বের আপামর জনগণের মানবাধিকার সংরক্ষণে অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।

এছাড়া শান্তিপূর্ণ বিশ্ব গড়তে যুদ্ধ ও সংঘাতের পথ পরিহার করতেও বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘বিশ্বনেতাদের প্রতি আবেদন, যুদ্ধ, স্যাংশান ও সংঘাতের পথ পরিহার করুন। আমাদের জনগণ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য স্থায়ী শান্তি, মানবজাতির কল্যাণ ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য কাজ করুন।’

যুদ্ধ ও সংঘাত মানুষের জীবনের কষ্ট বাড়ায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি নিজে নিপীড়িত এবং যুদ্ধ ও হত্যার নৃশংসতার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে যুদ্ধ, হত্যা, অভ্যত্থান ও সংঘাতের ভয়াবহতার জন্য মানুষ যে বেদনা ও যন্ত্রণা সহ্য করে তা অনুভব করতে পারি। 

Advertisement
Share.

Leave A Reply