ইসরায়েলে অতর্কিত রকেট হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামাসের হামলার জবাবে গাজায় প্রতিশোধমূলক বিমান ও কামান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান ও কামান হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা। মুহুর্মুহু হামলায় কেঁপে উঠছে পুরো গাজা। ধসে পড়ছে একের পর এক স্থাপনা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এদিন সকালে জানানো হয়েছিল গাজার একমাত্র বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আর মাত্র ১২ ঘণ্টা সচল রাখার জ্বালানি রয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে উপত্যকার বিদ্যুৎ বিভাগের প্রধান জানিয়েছেন, আর ৩ ঘণ্টা পরই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
গাজায় মাত্র একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের চাহিদা মেটানোর জন্য বাকি বিদ্যুৎ আসত ইসরায়েল থেকে। কিন্তু গত রোববার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয় সেখানে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করবে এবং পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাবারসহ সব প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দেবে। জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করে দিতে হবে।
এ ছাড়া সুপেয় পানির সংকটে ভুগছেন যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাবাসী। দেখা দিয়েছে হাহাকার অবস্থা। অনেকে জীবন বাঁচাতে পরিবার নিয়ে নিরাপদ জায়গায় পালিয়েছেন। অনেকে আশ্রয়শিবিরে উঠেছেন। কিন্তু অবিরত হামলা হচ্ছে সেখানেও।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি গত রোববার জানিয়েছে, তাদের কাছে গাজাবাসীর জন্য এক মাসের খাবার মজুত আছে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, দ্রুত খাবারের জোগান দিতে না পারলে চরম সংকটে পড়বে গাজার মানুষ। গাজায় এখন বিদ্যুতের সংকট চরম রূপ নিয়েছে। এ অবস্থায় খাবার নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও দেখছে সংস্থাটি।
ইসরায়েল ইতিমধ্যে গাজার কাছে প্রায় ৩ লাখ সেনা জড়ো করেছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গালান্টও ইঙ্গিত দিয়েছেন, হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় স্থল অভিযান চালাবেন তারা।