fbpx

মার্চে দেশে রেমিটেন্স এসেছে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা   

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রবাসী যোদ্ধারা দেশে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রা হিসেবে যার পরিমাণ প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের মার্চ মাসের তুলনায় এটি প্রায় ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১২৭ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে (জুলাই-মার্চ) প্রবাসীরা দেশে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার বা এক লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। ফলে দেশের রিজার্ভ ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। সবশেষ ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ০৯ বিলিয়ন বা চার হাজার ৩০৯ কোটি ডলার।

মার্চ মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পাঁচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৪৪ কোটি ১৩ লাখ ডলার। আর বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৪৩ কোটি ১৭ লাখ ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন এক কোটি মার্কিন ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে তিন কোটি ২৯ লাখ ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, করোনার প্রভাব প্রবাসীদের রেমিটেন্স পাঠানোতে ভাটা ফেলতে পারে নি। এছাড়া প্রবাসীরা অবৈধ পথে রেমটেন্স পাঠানোও বন্ধ করেছেন। এজন্য সরকার প্রবাসীদের ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনাও দিচ্ছে। তাই এই প্রবাসীরা দেশে বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন।

করোনার কারণে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, মহামারীর ধাক্কায় ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিটেন্স ২২ শতাংশ কমবে। আর বাংলাদেশে কমবে ২০ শতাংশ।

কিন্ত বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেই পূর্বাভাস সত্যি হয় নি। ভারতে রেমিটেন্স ৩২ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশে বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ২০২০ সালের ডিসেম্বরে দেশে প্রবাসীরা ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে যা ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।

দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিটেন্স। দেশের জিডিপিতে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

Advertisement
Share.

Leave A Reply