আগামী বছর জানুয়ারিতে শুরু হওয়া নতুন শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু না করে সীমিত পরিসরে শুরু হবে। মার্চ পর্যন্ত এ কার্যক্রম স্বল্প পরিসরে চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যদি মার্চ পর্যন্ত এভাবেই নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে এরপর থেকে স্বাভাবিকভাবে কার্যক্রম চলতে পারে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবইয়ের ছাপার কাজ দেখতে গিয়ে দীপু মনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গতবারের মতো আসন্ন নতুন শিক্ষাবর্ষেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় বিনা মূল্যে বই বিতরণের উৎসব হবে না। শ্রেণি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হবে।
জানুয়ারিতে শিক্ষাক্রম স্বাভাবিক করা যাবে কি না, সে বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওমিক্রন নিয়ে এখনো শেষ কথা বলার সময় আসেনি। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপকভাবে ছড়াচ্ছে, ইউরোপেও ছড়াচ্ছে। এজন্য আমাদের আরেকটু বোধ হয় দেখা দরকার। আমরা এখনো সবদিক দিয়ে ভালো অবস্থায় আছি, কিন্তু একই সঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের এখানে মার্চে বাড়ে (করোনার সংক্রমণ)। কাজেই মার্চ মাস পার না হওয়া পর্যন্ত বলতে পারব না, খুব নিরাপদ অবস্থায় আছি। কাজেই সতর্কতা ষোলো আনা রাখতে হবে।’
এবারও বই উৎসব করার মতো অবস্থা নেই উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, সব বিদ্যালয় ক্লাস ধরে ধরে বই দেবে। শিক্ষার্থীরা সময়মতোই বই পেয়ে যাবে।
বই বাঁধাই প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিকে ইতিমধ্যে ২১ কোটির বেশি বই বাঁধাই হয়ে গেছে। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে প্রায় সব বই হয়ে যাবে। তারপরও কিছু বাদ থাকলে সেগুলোও জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দেওয়া যাবে।
আর যে দুটি শ্রেণিতে নতুন বছর থেকে নতুন শিক্ষাক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালুর কথা ছিল, সেখানে জানুয়ারির পরিবর্তে ফেব্রুয়ারিতে বই দেওয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।