fbpx

মালদ্বীপের পার্লামেন্টে এমপিদের হাতাহাতি

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ঘিরে চলতে সমালোচনার ঝড়। সরকারি ও বিরোধীদলীয় এমপিদের মধ্যে হাথাতি হয়েছে পার্লামেন্টের ভিতরেই। মন্ত্রিসভায় নতুন চার মন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে দু’পক্ষের এমপিদের মতবিরোধ হাতাহাতিতে গড়ায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে একে অপরকে কিল-ঘুসি ও লাথি মারতে দেখা যায়। স্পিকারের বক্তব্য বিঘ্নিত করতে একজন এমপিকে হর্নও বাজাতে দেখা গেছে।

এদিকে পার্লামেন্টে মারামারির ঘটনার পর মালদ্বীপের চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (এমডিপি)। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ এমডিপি মুইজ্জুর সরকারকে অভিশংসন করতে সংসদ সদস্যদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতেও শুরু করেছে।

মালদ্বীপের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর মন্ত্রিসভায় তাঁরই নিয়োগ দেওয়া চার নতুন সদস্যের সংসদীয় অনুমোদন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় পার্লামেন্টে বিরোধী দল এমডিপি। এর পরই গত রোববার শুরু হয় হট্টগোল। ক্ষমতাসীন পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) এবং মালদ্বীপ প্রগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) সদস্যরা এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে পার্লামেন্টের অধিবেশন বাধাগ্রস্ত হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম নামের এক এমপি ঘুসি মেরে আরেক এমপি আহমেদ ইসাকে মাটিতে ফেলে দেন। এর পর দুই এমপির হাতাহাতিতে এক পর্যায়ে পড়ে গিয়ে আবদুল হাকিম মাথায় আঘাত পান। পরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনার দিনই সংবাদ সম্মেলনে এমডিপি এমন হাতাহাতির ঘটনার সাফাই দিয়ে বলেছে, আবদুল্লাহ শাহীম আবদুল হাকিম আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছেন। এমডিপির পার্লামেন্ট সদস্য হিসান হুসাইন বলেন, সরকারপন্থি এমপিরা যা করেছেন, তাতে এমডিপি এমপিদের আত্মরক্ষা করা ছাড়া উপায় ছিল না।

এমপিদের এমন হাতাহাতির ঘটনার পর ক্ষমতাসীন জোটের সদস্য ও সমর্থকরা পার্লামেন্টের বাইরে মন্ত্রীদের অনুমোদন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন। স্পিকার মোহাম্মদ আসলাম ও ডেপুটি স্পিকার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে জোট।

Advertisement
Share.

Leave A Reply