মালদ্বীপ থেকে অর্থ ডলারে রূপান্তর করে দেশে পাঠানোর বিষয়টি বিস্ময়কর বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এর কারণ তার জানা নেই। দেশে ফিরে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব। শুক্রবার তিনি মালদ্বীপে প্রবাসীদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে টাকা পাঠাতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে ব্যবস্থা নিতে বলবো। মানি এক্সচেঞ্জ খোলা হবে। যেন ডলার কিনে দেশে টাকা পাঠাতে না হয়।
প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের এখানে চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল করা সম্ভব হবে কি না জানি না। মালদ্বীপ সরকার এখানে আমাদের জমি দেবে কি না তাও জানি না। তবে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা, শিক্ষায় আরও বেশি বৃত্তি ও সুবিধা আমরা দেব।’
মালদ্বীপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বর্তমানে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন তার সমাধানে তাঁর সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমি একটি সফল দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছি। অনথিভুক্ত বাংলাদেশী শ্রমিকদের বৈধ করার বিষয়টি সংলাপে প্রাধান্য পেয়েছে।’মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের করোনার টিকা দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শিগগিরই মালদ্বীপে ফসল রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। এরই মধ্যে দেশটির সঙ্গে একটি বেসরকারি ফ্লাইট চালু হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে বিমান বাংলাদেশও তাদের ফ্লাইট চালু করবে।
বিমানের জন্য দুটি কার্গো উড়োজাহাজ কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোভিডের জন্য তা পিছিয়ে গেছে। এটা কেনা হলে আপনারা সহজে মালামাল আনতে পারবেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মালদ্বীপের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ইস্কান্ধার স্কুল অডিটোরিয়ামে, মালে চাঁদনী মাগুতে সমবেত হন।