কথায় আছে, আয় বুঝে ব্যয় করা উচিত। আমাদের প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট কিছু আয় থাকে। যাদের আয় মাসে লাখ টাকা তাকে যেমন হিসাব করে চলতে হয়, তেমনি যার আয় মাসে বিশ হাজার টাকা তাকেও হিসাব করে নির্দিষ্ট টাকার মধ্যে মাসের খরচ চালাতে হয়।
মাসের শুরুতে হয়তো আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিয়মত টাকা ঢুকছে, কিন্তু মাসের অর্ধেক আসতে না আসতেই টানাটানি পড়ে যায়। এই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে অনেক মানুষ যায়। সবার একটাই প্রশ্ন, বাজে খরচ না করার পরও কোথায় যায় টাকা?
বিবিএস বাংলার পাঠকদের জন্য আজ থাকছে কিছু পরামর্শ যা মেনে চললে মাস শেষ হওয়ার আগেই পকেট শূন্য হওয়ার হাত থেকে মিলতে পারে মুক্তি।
১। হুটহাট বাইরের খাবার কিনে খাওয়া বন্ধ করুন। এমনকি মোবাইল থেকে খাবারের অ্যাপ ডিলিট করে দিতে পারেন। কারণ, মাঝে মাঝেই এসব অ্যাপে বিভিন্ন ছাড় দেওয়া হয়। আর এই প্রলোভন উপেক্ষা করা সহজ নয়। যদি বাইরে খেতেই হয়, মাসের ২-৩ দিন নির্দিষ্ট করে রাখুন। অতিথি এলেও বাইরে থেকে খাবার আনার বদলে বাড়িতেই কিছু না কিছু বানিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন।
২। অনলাইন কেনাকাটার যুগে নিত্যনতুন ছাড়ের টান উপেক্ষা করা সহজ নয়। কিন্তু এসব ছাড়ের ফাঁদে পা দেবেন না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন।
৩। ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন যতটা সম্ভব। এটি প্রয়োজনের জিনিস একথা সত্যি। কিন্তু সরাসরি টাকা খরচ করলে, খামখেয়ালি কেনাকাটা কিছুটা হলেও কমে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
৪। অনেকেই আছেন হুটহাট বেড়াতে পছন্দ পছন্দ করেন। একটানা খরচসাপেক্ষ ভ্রমণ না করে কাছাকাছি ঘুরে আসার চেষ্টা করতে পারেন। এতে টাকাও বাঁচবে, একঘেয়েমি থেকেও মুক্তি পাবেন।
৫। মাসের শুরুতেই কিছু টাকা সরিয়ে রাখতে পারেন যেটাতে হাত দেবেন না একদম। ভাবুন, বাকী টাকা দিয়েই আপনাকে মাস চলতে হবে। মাসের শেষে খুব বিপদে পড়লে আলাদা করে রাখা টাকা থেকে খরচ করতে পারবেন। আর যদি টাকাটা খরচ করা না লাগে, দেখবেন কয়েক মাস পর কিছু টাকা জমেও যাবে যা একসময় আপনার বড় কোন কাজে লাগতে পারে।