fbpx

মিশরের ধনীরাই শুধু বিদ্যুৎ পাচ্ছে

Pinterest LinkedIn Tumblr +
Advertisement

বিশ্বজুড়ে জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনের ফলে তীব্র দাবদাহে জ্বলছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তার মধ্যে মিশর অন্যতম। পিরামিডের দেশ মিসরের পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জনজীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে। তীব্র এই গরমে বিদ্যুতের ব্যাপক চাহিদাও দেখা দিয়েছে দেশটিতে। কিন্তু আসল চিত্র অনেকটাই ভিন্ন।

অতিষ্ঠ এ গরমে দেশটিতে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকে না ছয়-সাত ঘণ্টা পর্যন্ত। তবে এ চিত্র শুধুই দেশের নিম্নবিত্ত এলাকাগুলোতেই দেখা যায়। উচ্চবিত্তদের আবাস এলাকায় বিদ্যুতের ঘাটতি তেমন কোনো প্রভাবই ফেলে না।

বিদ্যুৎ সরবরাহেও ব্যাপক শ্রেণিবৈষম্যের দেখা মিলছে মিসরে। কায়রো, গির্জা এবং আলেকজান্দ্রিয়ার যে অংশগুলোতে মিলিটারি ও শক্তিশালী ব্যক্তিদের আবাসস্থল তাদের ঘরে একেবারেই লোডশেডিং হচ্ছে না। পর্যটন ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে রাজস্ব আদায় করা হয় বলে সেখানেও দেওয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধা। একই শহরগুলোর গ্রামীণ এলাকাগুলোতে সব ধরনের বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে।

এমনকি বিদ্যুৎ বাঁচাতে রাস্তার বাতি পর্যন্ত নিভিয়ে রাখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে মিসর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করেছে।

হিউম্যান রাইটসের ডেপুটি ডিরেক্টর অ্যাডাম কুগল বলেছেন, ‘মিসরের সরকার দীর্ঘদিন ধরেই দেখিয়ে আসছে তারা মিসরের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির বিনিময়ে নাগরিকদের অধিকারকে বিসর্জন দেয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হলে নাগরিকদের খাদ্য, জল, স্বাস্থ্যসেবাসহ সব অধিকার থেকেই তারা বঞ্চিত হয়।’

তবে কর্তৃপক্ষদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের জাতীয় গ্রিডের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত গরমে ফ্যান ও এয়ার কন্ডিশনারগুলো চালানোর ফলে বিদ্যুতের উচ্চ চাহিদা তৈরি হয়। অধিক চাহিদার জোগান দিতে গিয়েই বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিচ্ছে।

যদিও দেশটির বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশে বিদ্যুতের ব্যবহার রেকর্ডমাত্রায় পৌঁছেছে, তবে এটি দেশের সরবরাহ ক্ষমতা মেটাতে পারছে না।

১৭ জুলাই বিদ্যুৎ সরবরাহ ক্ষমতা ৩৪,৬৫০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে, যা মিশরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কিন্তু তাতে দেশের নিম্নবিত্তদের ঘরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন হয়নি।

Advertisement
Share.

Leave A Reply