ঈদুল ফিতর সামনে রেখে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন রাজবাড়ীর বিসিক শিল্প নগরীর সেমাই কারখানার কারিগররা। রাজবাড়ীতে তৈরি সেমাই স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে। এদিকে খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান যাতে বজায় থাকে সেজন্য তদারকি করছেন মিল মালিক ও বিসিক কর্মকর্তারা।
রাজবাড়ীর বিসিক শিল্প নগরীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিসিক শিল্প নগরীতে দ্বীন ফুড প্রডাক্ট, শাওন ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ, কাজী ফুড প্রডাক্টসহ তিনটি কারখানায় তৈরি হয় সেমাই। আর দুই সপ্তাহ পরই ঈদ। ফলে এ তিন কারখানার দুই শতাধিক কারিগর এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। সেমাই তৈরির কাজে যেন দম ফেলারও সময় নেই।
ঈদের আগে কাজের চাপ বেশি, তাই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে সেমাই তৈরি। প্রথমে নিজস্ব মিলে তৈরি ময়দা থেকে সেমাই তৈরি তারপর রোদে শুকিয়ে ও ভেজে প্যাকেটজাত করা হয়। এতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করেন শ্রমিকরা।
রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরীর দ্বীন ফুড প্রডাক্টসের মালিক ও নারী উদ্যোক্তা মেহেরা নিগার পারভীন জানান, রাজবাড়ীর সেমাইয়ের গুনগত মান ভালো হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। গুনগত মান ধরে রাখতে সবসময় কারখানার শ্রমিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে সেমাই তৈরি করা হয়।
রাজবাড়ীর বিসিক শিল্পনগরীর সহকারী মহাব্যবস্থাপক চয়ন বিশ্বাস বলেন, ‘খাদ্যদ্রব্যের গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য মিল মালিকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নিয়ম না মানলে তাদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা। রাজবাড়ীর বিসিক শিল্প নগরীতে তিনটি সেমাই কারখানায় প্রতিদিন কাজ করছেন দুই শতাধিক শ্রমিক। এতে প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে ২ টন সেমাই।’